Indian scientists: মহাকাশ গবেষণায় ভারতের বিরাট সাফল্য, আরও একটি অসাধ্যসাধন ভারতীয় বিজ্ঞানীদের…
নতুন গ্রহের আবিস্কার ভারতের। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরজগতের বাইরে নতুন গ্রহের সন্ধান দিলেন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের (Indian scientist) গবেষণায়। এই আবিষ্কৃত গ্রহের (New Planet Discovery) নাম ‘টিওআই-৬৬৫১বি’। অন্য আরেকটি সূর্যের মতো নক্ষত্রের চারপাশে পরিক্রমা করে চলেছে গ্রহটি। মহাকাশ গবেষণায় ভারতীয় বিজ্ঞানীদের এই আবিষ্কারে বিরাট শোরগোল পড়েছে।
ভারতের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবোরেটরির (Physical Research Laboratory) বিজ্ঞানীরা এই নয়া গ্রহের আবিষ্কার করেছেন। অত্যাধুনিক পারাস-২ স্পেকটোগ্রাফের মাধ্যমে এই গ্রহের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়েছে। টিওআই-৬৬৫১বি গ্রহটি (New Planet Discovery) উচ্চভর যুক্ত। আমাদের সৌর জগতের শনির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই নিয়ে পিআরএল-এর বিজ্ঞানীরা ষষ্ঠতম এক্সোপ্ল্যানেট বা ভিন-গ্রহ আবিষ্কার করলেন। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের এই অনুসন্ধান অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই নয়া আবিষ্কৃত গ্রহ কোনও সাধারণ গ্রহ নয়। বিজ্ঞানীরা (Indian scientist) বলেছেন, পৃথিবীর তুলনায় ওই গ্রহের ভর ৬০ গুণ বেশি। আয়তনেও পৃথিবীর তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বড়। মহাকাশে নেপচুনিয়ান ডেসার্ট নামক অঞ্চলের একেবারে কিনারায় এই গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে ওই এলাকায় এই রকম আরও গ্রহের সন্ধান আগেও পাওয়া গিয়েছে।
নবাবিষ্কৃত এই গ্রহ টিওআই-৬৬৫১বি (New Planet Discovery) সূর্যের মতো পৃথক একটি নক্ষত্রের চারিদিকে পরিক্রমা করে। নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে গ্রহটি পাঁচ দিন সময় নেয়। ওই গ্রহে একবছর হিসেবে গন্য হয়, যে সময়সীমা তা পৃথিবীর এক সপ্তাহেরও কম। এই গ্রহের কক্ষপথ খানিকটা ডিম্বাকৃতির। এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, টিওআই-৬৬৫১বি গ্রহটি টিওআই-৬৬৫১ নামের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করেছে। সেটি একটি জি-টাইপ সাব-জায়ান্ট নক্ষত্র। সূর্যের চেয়ে তার আয়তন এবং তাপমাত্রা অনেক বেশি। সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় ৫৯৪০ কেলভিন। গ্রহের মোট ভরের ৮৭ শতাংশ পাথর এবং লৌহসমৃদ্ধ খনিজ বলে জানা গিয়েছে। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের আস্তরণ মুড়ে রেখেছে গ্রহটিকে। তবে সবসময় গ্রহটি এমন ছিল না, তার বিবর্তন ঘটেছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা (Indian scientist)।
গবেষকদের বক্তব্য, অন্য এক বা একাধিক মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে মিশে যায় গ্রহটি। ফলে সূচনাপর্বের ওই পরিবেশ আর বিদ্যামান নেই গ্রহটিতে। বিজ্ঞানীরা আরও জানান, সাধারণ যে নিয়মে গ্রহের জন্ম হয়, তা থেকেও কিছুটা আলাদা এটি। একে বড়, তারপর ভর অনেক বেশি তাই টিকে থাকার বিষয় নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই নিয়ে বিস্তর আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গ্রহমণ্ডলের বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের সন্ধান করছেন বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা (Indian scientist)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।