Kerala: কেরলে নিপা ভাইরাসের নয়া স্ট্রেনে রয়েছে বাংলাদেশ যোগ! এতে সংক্রমণের হার কম কিন্তু মৃত্যুহার বেশি...
কেরলে ফের নিপা আতঙ্ক।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলে (Kerala) খোঁজ মিলল নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus)। ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিপায় আক্রান্ত আরও দুইজন। মঙ্গলবার নিপা ভাইরাসের খোঁজ মেলার খবর নিশ্চিত হতেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞের দল পাঠানো হয়েছে। পুণের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির (National Institute of Virology) একটি দলও ইতিমধ্যেই কেরলে পৌঁছে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কোঝিকোড়ের বেসরকারি হাসপাতালে গত ১১ সেপ্টেম্বর এবং ৩০ অগাস্ট ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে ৩ শিশু সহ মোট ৪ জন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। চিকিৎসাধীন চারজননের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছি পুনের ন্যাশনাল ইনিস্টটিউট অফ ভাইরোলজিতে। মঙ্গলবার পাওয়া রিপোর্টে ১ শিশু সহ ২ জনের শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। এর মধ্যে একজন গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রয়াত ব্যক্তির আত্মীয়। মৃত ওই ব্যক্তিও নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
কোঝিকোড়ে নিপা ভাইরাসের আতঙ্ক এই প্রথম নয়। ২০১৮ এবং ২০২১ সালেও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। প্রথমবার মোট ২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারমধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১৮ জনের। এবার নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল। নিপা ভাইরাসের উপসর্গ কী? এই ভাইরাসে আক্রান্তে হলে, জ্বর, সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে মাথাব্যথা এবং শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গগুলি দেখা যায়। সেই সঙ্গে থাকে বমিবমি ভাব। খিঁচুনির মতো উপসর্গ দেখা দিলে আক্রান্ত কোমায় চলে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মূলত বাদুড় থেকে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায়। পরবর্তীকালে অন্যান্য পশু এবং মানুষের শরীরে ছড়িয়ে থাকে। অনেক সময় শূকর থেকেও নিপা ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে আইফোন ১৫ সিরিজ! এদেশে কত দাম চারটি মডেলের? বিক্রি শুরু কবে?
বুধবার কেরল বিধানসভায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, “নিপা ভাইরাসে চারজন আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এটা নিপা ভাইরাসের বাংলাদেশ ভ্যারিয়েন্ট যা মানবদেহ থেকে অপর মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এই স্ট্রেনের সংক্রমণের হার কম হলেও, এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।” স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আক্রান্তদের প্রায় সকলেই সে রাজ্যের কোঝিকোড় জেলার বাসিন্দা। সংক্রমণ রুখতে ওই জেলার সাতটি গ্রামকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা (কনটেনমেন্ট জ়োন) বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু স্কুল। নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ এবং তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে একটি ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগার তৈরি করছে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (এনআইভি)। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-ও মবোক্লোনাল অ্যান্টিবডি পাঠাচ্ছে নিপা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।