img

Follow us on

Friday, Nov 29, 2024

NIA: লস্কর জঙ্গি সলমন রহমনকে আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরাল এনআইএ, রয়েছে পাকিস্তান যোগ

Militant: রোয়ান্ডা থেকে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে গ্রেফতার করল এনআইএ, কী কী অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে?

img

ধৃত লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খান (সংগৃহীত ছবি)

  2024-11-29 12:30:38

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি সলমন রহমন খানকে ভারতে ফেরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে তাকে আফ্রিকার রোয়ান্ডা থেকে ভারতে আনা হয়েছে। যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA) এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এ কাজে সাহায্য করে ইন্টারপোলও।

ঠিক কী অভিযোগ রয়েছে? (NIA)

পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার মদতে বেঙ্গালুরুতে নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল সলমন। বেঙ্গালুরুতে (NIA) বিশাল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর তার নাম উঠে আসে। তদন্তে নেমে জানা যায়, টি নাসির নামে এক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি, যে যাবজ্জীবনের সাজা কাটার জন্য ওই সংশোধনাগারে বন্দি, সে-ই আবাসিকদের মধ্যে জঙ্গি প্রচার চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। এনআইএ-র দাবি, একটি পকসো মামলায় বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল সলমন রহমান খানও। সেখানে সে নাসিরের সংস্পর্শ আসে। পরে নাসিরের নির্দেশে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিস্ফোরক ও অস্ত্র হামলাকারীদের মধ্যে বিতরণের দায়িত্ব নেয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্র সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুর সংশোধনাগারে মৌলবাদী ভাবধারা প্রচার এবং মৌলবাদীদের নিয়োগের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে। পারাপ্পানা অগ্রহর সেন্ট্রাল প্রিজন অর্থাৎ জেল থেকে সাতটি পিস্তল, চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি ম্যাগাজিন ও ৪৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছিল। চারটি ওয়াকিটকিও উদ্ধার হয় সেসময়। তারপরই অস্ত্র সরবরাহ-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে এনআইএ-র অপরাধী তালিকায় যুক্ত হয় তার নাম। অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়। তার খোঁজে তল্লাশি চলছিলই।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

এনআইএ কী জানাল?

এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনআইএ-এর (NIA) তরফে জানানো হয়েছে - ‘‘বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সন্ত্রাসী মৌলবাদী ভাবধারার প্রচার এবং সন্ত্রাস চালানোর জন্য পরবর্তীতে মৌলবাদীদের নিয়োগ সংক্রান্ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সলমনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে রোয়ান্ডা ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (আরআইবি), ইন্টারপোল এবং ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)। ওই ব্যক্তিকে ২৭ নভেম্বর হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে তাকে ভারতে নিয়ে আসা হয়।’’ এনআইএ-র তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘‘২০২০ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও না কোনও গুরুতর মামলায় যুক্ত মোট ১৭ জন অভিযুক্ত সন্ত্রাসবাদীকে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে।’’

জঙ্গি গ্রেফতার প্রসঙ্গে কী বলল সিবিআই?

সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘‘এনআইএ-র অনুরোধ অনুসারে গত ২ অগাস্ট সিবিআই-এর পক্ষ থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে সলমন খানের (Militant) নামে একটি রেড নোটিশ জারি করা হয়। ওই ওয়ান্টেড অপরাধীকে শনাক্ত করতে সারা বিশ্বের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলিকে সেই অ্যালার্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শেষমেশ রোয়ান্ডায় সলমন রহমান খানের হদিশ পাওয়া যায়। এরপরই সিবিআই-এর তরফ থেকে রোয়ান্ডার রাজধানী এবং সবথেকে বড় শহর কিগালিতে অবস্থিত ইন্টারপোল-এর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর কাছে সলমন খানকে ধরার জন্য সাহায্য চাওয়া হয়।’’

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Tags:

cbi

Madhyom

pakistan

India

NIA

bangla news

Bengali news

Africa

militant


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর