পাক এজেন্টের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা এনআইএ-র...
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে ভারতীয় নৌবাহিনীর আধিকারিকদের হানি ট্র্যাপে ফেলার কাজ করত আমন সালিম শেখ। পাকিস্তানের আইএসআই নিযুক্ত এই গুপ্তচরকে গত বছরের ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি। জানা গিয়েছে, তার কাজ ছিল হানি ট্র্যাপের মাধ্যমে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন গোপন তথ্য আদায় করে তা পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া। গ্রেফতার হওয়া এই পাকিস্তানি গুপ্তচরের বিরুদ্ধে আদালতে শুক্রবার চার্জশিট পেশ করল এনআইএ (NIA)।
জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করা হয় গত বৃহস্পতিবারই বিশাখাপত্তনমে এনআইয়ের বিশেষ আদালতে। এই চার্জশিটে গ্রেফতার হওয়া শেখ আমন সালিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাকে 'আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস প্রিভেনশন অ্যাক্ট'-এর বিভিন্ন ধারাও দেওয়া হয়েছে। এনআইএ-র (NIA) সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, পাকিস্তানের গুপ্তচররা যে সিম কার্ড ব্যবহার করত। তা অ্যাকটিভ করার কাজ ছিল সালিমে ওপরেই। অর্থাৎ হানি ট্র্যাপের পাশাপাশি পাকিস্তানের গুপ্তচরদের ফোনের সিমও সাপ্লাই করত সে। তার এই কার্যকলাপ প্রথম সামনে আসে ২০২১ সালেই।, সে সময়ে অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি ২০২১ সালে, পাকিস্তানি গুপ্তচরদের এই সিম অ্য়াক্টিভেট কার্যকলাপ ধরা পড়ে যায়। এরপরেই নাম সামনে আসে আমন সালিম শেখের।
এনআইএ (NIA) সূত্রে আরও তথ্য মিলেছে, টাকার বিনিময়ে এমন কাজ করত সে। পাকিস্তানের আইএসআই তাকে (সালিম) পরিচালনা করত। এর পাশাপাশি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করা আরও কয়েকজন এজেন্টের নাম সামনে এসেছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মীর বালাজ খান ও অলভিন। প্রসঙ্গত, মীর বালাজ খান একজন পাকিস্তানি নাগরিক। ক্রিপ্টো চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানের আইএসআই তাকে যে কাজ দিত তা সে সম্পন্ন করতো। গত বছরের ৬ নভেম্বর ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি একটি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করে দুজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এরা হল মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডা এবং আলভেন। প্রসঙ্গত, মনমোহন সুরেন্দ্র পান্ডাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর হওয়ার অপরাধে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।