Chandan Gupta: ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি তেরঙ্গা যাত্রায় মৌলবাদীরা নৃশংসভাবে খুন করে চন্দন গুপ্তাকে, বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি এই মামলায় রায় দিল এনআইএ আদালত
২০১৮ সালে মৌলবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন চন্দন গুপ্তা (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্ণৌ-এর বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালত ২৮ জন মৌলবাদীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল, চন্দন গুপ্তা হত্যা কেসে। প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তা (Chandan Gupta), যাঁর অপর নাম ছিল অভিষেক গুপ্তা, তাঁকে ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রা সময় নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এনআইএ-র বিশেষ আদালতের এই রায়দান সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি। সেখানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে আজিজউদ্দিন, মুনাজির, আসিফ, সাবিব ছাড়া আরও ২৪ জনকে। কুখ্যাত এই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে চন্দন গুপ্তার হত্যা সমেত জাতীয় পতাকা অবমাননা, সাম্প্রদায়িক হিংসারও অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে অতিরিক্ত জরিমানাও করা হয়েছে ওই মৌলবাদীদের।
প্রসঙ্গত, চন্দন গুপ্তার হত্যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয় ২০১৮ সালে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে তেরঙ্গা যাত্রার মিছিলে (NIA) অতর্কিতে হামলা চালায় মৌলবাদীরা। ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয় চন্দনকে। তাঁর ভাই বিবেক গুপ্তাকেও ব্যাপক মারধর করে জেহাদিরা। ওই শোভাযাত্রায় পাথর ছোড়ার অভিযোগও ওঠে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। জোর করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিতে দিতে হুমকি দিতে থাকে মৌলবাদীরা। এরপরেই চন্দন গুপ্তাকে গুলি করা হয়। প্রথমে আহত চন্দনকে কাশগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা হয়, পরে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চন্দনের বাবা সুশীল গুপ্তা এবং তাঁর ভাই বিবেক পরবর্তীকালে কোর্টের দ্বারস্থ হন বিচারের আশায়। প্রায় সাত বছর পরে সামনে এল রায়।
এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এনআইএ (NIA)। তার মধ্যে অন্যতম ছিল চন্দনের পরিবারও। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও পরে মামলা হস্তান্তর করা হয় এনআইএ-কে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম চার্জশিট জমা করে এনআইএ। পরবর্তীকালে পেশ করা হয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট, যেখানে ছিল ৩০ জনের নাম। তবে দুজনকে প্রমাণের অভাবে খালাস করে দেয় এনআইএ-এর (NIA) বিশেষ আদালত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।