গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লন্ডনে যাবে এনআইএ (NIA)। গত মাসে লন্ডনে (London) ভারতীয় দূতাবাসের সামনে তাণ্ডব চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা (Pro Khalistan)। সেই ঘটনার তদন্ত করতেই এবার ব্রিটেন যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, লন্ডনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁদের সেই বিবৃতি করা হবে রেকর্ডও। ভারতীয় দূতাবাসের সামনে থাকা সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে সবুজ সংকেত মিলেছে। তার পরেই রাজার দেশে যাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সম্প্রতি খালিস্তানের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ওয়ারিশ পঞ্জাব দে-র নেতা অমৃতপাল সিংহ। বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর প্রায় ৩৬ দিন পরে গ্রেফতার করা হয় বিচ্ছিন্নতাবাদী ওই নেতাকে। অমৃতপালের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান শুরু হতেই লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান খালিস্তানপন্থীরা। সেই সময় ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। খালিস্তানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দিতে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে টাঙানো জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। দ্রুত সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয় সেই ছবি। তার পরেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেয় ভারত (NIA)। ঘটনার পরে পরেই ব্রিটেনের কাছে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নয়াদিল্লি। নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিসকে তলব করে বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুুন: কোচির রাস্তায় মোদি-ম্যাজিক! আজ কেরলে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
খালিস্তানপন্থীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করেন অ্যালেক্স। ঘটনাটিকে মর্যাদাহানিকর ও সম্পূর্ণ অবাঞ্ছনীয় বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে হামলা চালানোর ঘটনায় ইউএপিএ আইনের ধারা সহ একাধিক ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তার পরেই এনআইএকে তদন্তের নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তদন্ত করতেই লন্ডনে যাচ্ছেন এনআইএর তদন্তকারী আধিকারিকরা।
লন্ডনের ওই ঘটনার পরে কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে বেনজির হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননাকে লঘু করে দেখছে না ভারত। শুধুমাত্র পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে কাজ হবে না। অপরাধীদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তিও দিতে হবে। দূতাবাসের (NIA) নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে ব্রিটিশ প্রশাসনকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।