img

Follow us on

Saturday, Sep 28, 2024

Nikki Yadav Murder: নিক্কি হত্যাকাণ্ডে জড়িত দিল্লি পুলিশের কনস্টেবলও! বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে

Nikki Yadav Murder: নিক্কিকে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সাহিল, তাঁর বাবা, দুই তুতো ভাই এবং সাহিলের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

img

নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে নয়া তথ্য়

  2023-02-19 13:02:46

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে নিক্কি যাদব হত্যাকাণ্ডে ফের এক চমকে দেওয়ার মত তথ্য উঠে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু বাবা, ভাই-বন্ধুরা নয়, নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন দিল্লি পুলিশের এক কনস্টেবলও। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই কনস্টেবল আর কেউ নন, সাহিলেরই খুড়তুতো ভাই নবীন গেহলট। নিক্কিকে খুনের মামলায় ইতিমধ্যেই সাহিল, তাঁর বাবা, দুই তুতো ভাই এবং সাহিলের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিক্কি খুনে জড়িত দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল!

সূত্রের খবর, সাহিলের এক খুড়তুতো ভাই নবীন গেহলট দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। নিক্কিকে হত্যার ঘটনায় ওই ব্যক্তির সক্রিয় হাত ছিল বলেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। নিক্কিকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ গাড়িতে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘুরেছিলেন সাহিল। এরপর তাঁর দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন সেই কনস্টেবল ভাই।

পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছিল নিক্কিকে

প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল, পরিবারের দেখা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য নিক্কির সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে সাহিল। এরপর রাগের মুহূর্তে গাড়িতে থাকা ডেটা কেবল জড়িয়ে সাহিল তাঁকে হত্যা করে। কিন্তু, তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশের অনুমান, হঠাৎ নয়, নিক্কিকে খুনের জন্য রীতিমত পরিকল্পনা করেন সাহিল। আর এতে তাঁকে সাহায্য করেছিল পরিবারের কিছু সদস্য। আর এদিন খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যে, সাহিলের খুড়তুতো ভাই নবীন, যিনি একজন কনস্টেবলও, তিনিও নিক্কি যাদবের দেহ লুকোতে সাহায্য করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ২০২০ সালেই নিক্কিকে বিয়ে করেন সাহিল? দিল্লি হত্যা মামলায় নয়া মোড়

পুলিশের এক সূত্র জানিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানের পরই সেই দেহ সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্তরা। বিয়ের ঠিক আগের দিনই নিক্কিকে খুন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নিক্কিকে খুনের পর তাঁর দেহ ফ্রিজের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার বিষয়টিও আগে থেকে স্থির করা ছিল। অভিযুক্তরা ভেবেছিলেন যে, ফ্রিজে দেহ রাখলে পচন ধরবে না। কোনও গন্ধও বেরোবে না। ফলে কারও সন্দেহ হবে না।

এছাড়াও দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ২০২০ সালে নিক্কিকে বিয়ে করার পর থেকেই সাহিলকে তাঁর বাড়ি থেকে চাপ দেওয়া শুরু হয়েছিল। নিক্কির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য চাপ দেওয়া হত। এরপর নিক্কিকে সাহিলের জীবন থেকে সরানোর জন্য এই খুন করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, শনিবারই পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, ২০২০ সালে নিক্কির সঙ্গে নয়ডার এক মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন সাহিল গেহলট। কিন্তু এতে একেবারেই খুশি ছিলেন না সাহিলের বাড়ির লোকজন। এরপর নিক্কিকে যখন খুন করা হয়, সেই হত্যাকাণ্ডে সামিল ছিলেন সাহিলের বাড়ির বাবা, ভাইরাও। এরপরই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তদের।

Tags:

Nikki Yadav

Nikki Yadav Murder

Sahil Gehlot


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর