Cashless Treatment Scheme: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হলে ‘নগদহীন চিকিৎসা’র সুবিধা দেবে মোদি সরকার
পথ দুর্ঘটনা রুখতে কেন্দ্রের নয়া ভাবনার কথা জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। ছবি: ট্যুইটার
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য নয়া প্রকল্প আনছে মোদি সরকার। আহতদের জন্য ‘নগদহীন চিকিৎসা’-র (Cashless Treatment Scheme) কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। তিনি জানান, পথ দুর্ঘটনায় আহতদের সাত দিনের চিকিৎসার জন্য দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বহন করবে সরকার। শুধু তা-ই নয়, ধাক্কা মেরে পালানোর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করলেন গড়করি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, পথ দুর্ঘটনায় (Cashless Treatment Scheme) কেউ আহত হলে, এক সপ্তাহ তাঁর চিকিৎসা চালাবে কেন্দ্র। চিকিৎসার খরচবাবদ সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। তবে আহত ব্যক্তির হাতে ওই টাকা দেওয়া হবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের কাছে পথ দুর্ঘটনার বিষয়ে জানানো হলে সরকার আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করবে। চিকিৎসা হবে ক্যাশলেস অর্থাৎ নগদহীন প্রক্রিয়ায়। চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই নয়া এই প্রকল্পের সূচনা হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী।
দুর্ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা (Cashless Treatment Scheme) পরিষেবা প্রদান সরকারের লক্ষ্য। তাই নয়া প্রকল্প আনা হচ্ছে। ন্যাশনাল হেলথ অথরিটি (NHA) এই প্রকল্প কার্যকর করবে। পুলিশ, হাসপাতাল এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোটা প্রকল্পটি প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে দুর্ঘটনার রিপোর্ট থাকবে, থাকবে চিকিৎসা খাতে লেনদেনের তথ্যও। জাতীয় সড়ক থেকে হাইওয়ে, যে কোনও রাস্তায় মোটরযান দুর্ঘটনায় পড়লেই, আহতরা এই চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন বলে জানিয়েছেন নিতিন।
অসম, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, পুদুচেরি, হরিয়ানায় পরীক্ষামূলকভাবে সাফল্য পেয়েছে প্রকল্পটি (Cashless Treatment Scheme)। পরীক্ষামূলক ভাবে প্রকল্পটি কার্যকর করার পর এখনও পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৪০ জন মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা পরিষেবার মাধ্যমে বছরে ৫০ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদী নিতিন। মঙ্গলবার দিল্লির ভারত মণ্ডপমে রাজ্যগুলির সড়ক পরিবহণমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন গড়করি (Nitin Gadkari)। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি এবং পরিবহণ সম্পর্কিত নীতিগুলি নিয়ে আলোচনা করা। সেই বৈঠকেই নতুন প্রকল্পের কথা জানান তিনি।
Union Minister for Road Transport & Highways @nitin_gadkari highlights alarming road safety statistics, revealing 1.80 lakh deaths in 2024, with 30,000 fatalities linked to non use of helmet. In a meeting at Bharat Mandapam in New Delhi, he stressed the need for improved safety… pic.twitter.com/XLsLo792NA
— DD News (@DDNewslive) January 8, 2025
শুধু ২০২৪ সালেই দেশে পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার। পরিসংখ্যান উল্লেখ করে গড়করি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এ বিষয়ে গড়করি (Nitin Gadkari) জানান, গত এক বছরে শুধু হেলমেট না পরার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার জনের। ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সিদের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে দাবি গড়করির। পাশাপাশি, স্কুল ও কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জায়গাতেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সঠিক পরিকল্পনার অভাবে পথ দুর্ঘটনায় ১০ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে সরকার, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত, এবার দেশেই প্যারাসিটামল উৎপাদন প্রযুক্তির উদ্ভাবন
নিতিন জানিয়েছেন, পথ দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে সরকার (Modi Govt)। গাড়ির চালকদের যাতে বেশি ক্ষণ খাটতে না হয়, ক্লান্তি, অবসন্নতা যাতে তাঁদের কাবু করে না ফেলে, তার জন্যও নীতি নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাঁদের দিয়ে আট ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালানো যাবে না। এর জন্য আধার নম্বর সম্বলিত নয়া প্রযুক্তি আনা হবে, যাতে চালকরা কত ঘণ্টা গাড়ি চালাচ্ছেন, তা বোঝা সম্ভব হবে। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে পুরস্কারের অঙ্কও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন নিতিন। বর্তমানে দুর্ঘটনায় প্রাণ বাঁচানো ব্যক্তিকে ৫০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পঞ্জাবে পরীক্ষামূলক ভাবে এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়। আরও ছয় রাজ্যেও পরীক্ষানিরীক্ষা চলে। সব শেষে গোটা দেশের জন্য প্রকল্পটি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।