Nitin Gadkari: রাজস্থানের দৌসায় এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন নিতিন গড়কড়ি।
নিতিন গড়কড়ি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়ের আজ উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশাল সড়ক প্রকল্পের অন্যতম অংশ দিল্লি-দৌসা-লালসট ২৪৬ কিলোমিটার অংশটির উদ্বোধন করলেন তিনি। আজকের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও সড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং এবং অন্যান্য নেতারা। এই মঞ্চ থেকেই আরও এক চমক দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যেই ভারতের রাস্তা আমেরিকার রাস্তার মত গড়ে তোলা হবে।
রাজস্থানের দৌসায় এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন নিতিন গড়কড়ি। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ দেশের রাস্তার পরিকাঠামোকে আমেরিকার সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে৷ তিনি বলেন, “আমরা ভারতের হাইওয়েগুলিকে আমেরিকার মত করার চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে আত্মনির্ভরশীল করার কথা বলেছেন এবং বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলেছেন, যা তিনি বারবার আমাদের সামনে লক্ষ্য হিসাবে রেখেছেন। ২০২৪ সালের শেষের আগে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায়, আমরা ভারতের রাস্তার পরিকাঠামোকে আমেরিকার সমান করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন: দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, জানুন বিস্তারিত
তিনি আরও বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদির স্বপ্ন ছিল যে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির উন্নয়নকে আগে প্রাধান্য দেওয়া হবে।” তিনি জানান, তিনি প্রায় ৫০০ টি ব্লক চিহ্নিত করেছেন, যেই জেলাগুলি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে রয়েছে এবং তাই, এই হাইওয়েটি সেই অঞ্চলগুলির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, আজ এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর এটি নিয়েও বক্তব্য রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে, “গত ৯ বছর ধরে কেন্দ্র পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। রাজস্থানকে জাতীয় সড়কের জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের তুলনায় এ বছরও রাজস্থানে বহু গুণ বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। লাভ পাবে রাজস্থান, এখানকার গ্রাম, গরিবেরা।” তাঁদের আশ্বাস, পরিকাঠামোর যত উন্নয়ন হবে, ততই রোজগার বাড়বে। আর্থিক গতিও বাড়ে।