Bio-energy fuel: জৈব বিটুমিন উৎপাদনে জ্বালানি খরচ কমবে, বর্তমানে আমদানি খরচ কত জানেন?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষকরা শুধু অন্নদাতা নন, তাঁরা শক্তিদাতা, বিটুমিনদাতা এবং জৈব শক্তির ইন্ধনদাতা। সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে এমন কথাই বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari)। বায়ো এভিয়েশন ফুয়েল বা গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন অফসেট এবং খড় থেকে তৈরি জৈব বিটুমিন নিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ২০২২ সালের নভেম্বরে এনএইচ সেভেন জিরোনাইনএডি-এর শামলি-মুজাফ্ফরনগর রুটে রাস্তা নির্মাণে জৈব-বিটুমিন (Bio-energy fuel) উৎপাদনের জন্য তিন বছরের একটি পরীক্ষামূলক বিভাগ স্থাপন করা হয়েছে। জ্বালানি খরচ কম করতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) বুধবার রাজ্যসভায় প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বিমান চলাচলে ২০ শতাংশ জৈব-বিমান জ্বালানি ব্যবহার করা হবে। ফসলের অবশেষ বা খড় থেকে এই জৈব জ্বালানি উৎপাদন করা হবে। কৃষকরা তার জন্য প্রতি টন ২৫০০ টাকা করে পাবেন। কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রক রাস্তা নির্মাণে বায়ো-বিটুমিনকে বেশি করে ব্যবহার করছে। ফলে দেশীয় উৎপাদন বাড়লে ভারতকেও বিদেশি আমদানি কম করতে হবে। বায়ো-বিটুমিন হল একটি জৈব-ভিত্তিক উৎপাদন। ফসলের খড় বা পরিত্যক্ত অংশ থেকে উৎপাদন করা হয়। পাকা রাস্তার উপরিভাগ নির্মাণ কাজে তা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশ্বের বৃহত্তম সড়ক যোগাযোগের ৯০ শতাংশ সড়ক নির্মাণে আমরা বিটুমিনকে ব্যবহার করছি। ২০২৩-২৪ সালে বিটুমিনের (Bio-energy fuel) ব্যবহার ছিল ৮৮ লাখ টন, ২০২৪-২৫ সালে যা ১০০ লক্ষ পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন মোট বিটুমিনের ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয় এবং যার বার্ষিক আমদানি ব্যয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।"
আরও পড়ুনঃ “পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন ডেঙ্গির তথ্য কেন্দ্রের কাছে নথিভুক্ত করাচ্ছে না?”, আক্রমণ নাড্ডার
কেন্দ্রীয় সড়ক এবং পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি (Nitin Gadkari) আরও বলেছেন, “সেন্ট্রাল রোড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিআরআরআই) নয়াদিল্লি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পেট্রোলিয়াম (আইআইপি) দেরাদুনের সহযোগিতায় খড় থেকে বায়ো বিটুমিন তৈরি করেছে। জ্বালানি খাতে অবদান রেখে কৃষকরা এখন ‘শক্তিদাতা’ হয়ে উঠেছেন। আমাদের কৃষকরা এখন শুধু অন্নদাতা নয়, তাঁরা একই সঙ্গে শক্তি উৎপাদকও বটে। এনএইচএআই জাতীয় সড়ক ৪০-এর জোরাবত-শিলং রুটে বায়ো-বিটুমিন দিয়ে একটি ট্রায়াল করার কথাও ভাবা হয়েছে। বায়ো-বিটুমিনের সুবিধা হল জ্বালানির (Bio-energy fuel) খরচ কম করে, গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণকে হ্রাস করা এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের জন্য আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা। ফলে কৃষিতে উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি করার বড় লক্ষ্য রয়েছে।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।