তিন রাজ্যে বিজেপি জয় পেতেই ঘোঁট পাকিয়ে গেল বিরোধীদের ইন্ডি জোটে...এবার কী হল?
ইন্ডি জোটে ফাটল, ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে রাহুল গান্ধীর দল। ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। মাত্র একটি রাজ্যে জয় পেয়ে কোনওভাবে মুখ রক্ষা করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এহেন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের উপায় কী, তা স্থির করতে ইন্ডি জোটের বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet) ডাকা হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর, বুধবার। সেই বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর ছড়িয়েছিল। তার পরেই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। তবে ওই বৈঠক কবে হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
তিন রাজ্যে গৈরিক নিশান ওড়ায় ছত্রখান বিরোধী জোট! ইন্ডি জোটের অন্দরে ক্রমেই চওড়া হতে শুরু করেছে ফাটল। সোমবার জোটের অন্যতম অংশীদার তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তিনি ওই বৈঠকে (I.N.D.I.A Bloc Meet) থাকছেন না। এর পর আজ মঙ্গলবার, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবও ৬ ডিসেম্বর ইন্ডি জোটের বৈঠকে গরহাজির থাকতে পারেন বলে খবর পান উদ্যোক্তারা। তার পরেই পিছিয়ে দেওয়া হয় বৈঠক। নতুন বছরের মার্চ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির দিল্লির তখতে ফেরা রুখতে ইন্ডি জোট গড়ে পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। শুরু থেকেই অশান্তির চোরাস্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধরেছে ফাটল। সম্প্রতি চওড়া হয়েছে সেই ফাটল।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসকে গোহারা হারিয়ে গৈরিক নিশান উড়িয়েছে বিজেপি। ভোটে হারের কারণ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী রণনীতি আলোচনা করতে বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাসভবনে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছিল। এখন তিন দলের প্রধান উপস্থিত থাকবেন না জেনে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠক (I.N.D.I.A Bloc Meet)। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও আমন্ত্রণ পাননি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও জানিয়েছেন, বৈঠকে যাচ্ছেন না তিনি। গরহাজির থাকছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও। প্রত্যাশিতভাবেই ইন্ডি জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুুন: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র দিনেই প্রাইমারি টেট! ক্ষোভ জমছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও
তিন রাজ্যে কংগ্রেস কুপোকাত হতেই হারের দায় ঝাড়তে উঠেপড়ে লেগেছেন ইন্ডি জোটের নেতাদের একাংশ। মমতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়, মানুষের নয়। আসন সমঝোতা হলে এই ফল হত না।” ইন্ডি জোটের (I.N.D.I.A Bloc Meet) আর এক শরিক কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লা বলেন, “রাজ্যগুলির নির্বাচনে ইন্ডি জোটের যা অবস্থা, ভবিষ্যতেও যদি একই রকম চলতে থাকে, তাহলে আমরা নিজেদের বাঁচাতে পারব না।” তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারেনি কংগ্রেস।” রাজনৈতিক মহলের মতে, ইন্ডি জোটের প্রধান শক্তি কংগ্রেস। কারণ একমাত্র এই দলটিরই অস্তিত্ব রয়েছে গোটা দেশে। সেই কংগ্রেসকেও দুষছেন জেডিইউ মুখপাত্র কেসি ত্যাগী। তিনি বলেন, “এটা কংগ্রেসের পরাজয়। ওরা জোটের কোনও দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি, সাহায্য চায়নি। ওরা নিজেদের ক্ষমতায় বিজেপিকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। যা আসলে ছিল দিবাস্বপ্ন।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।