কোম্পানির দায়িত্বই হল তাঁকে উৎপাদনশীল করে তোলা...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে মন্দার প্রভাব। এরই আগে আগে গিয়েছে করোনা অতিমারি পর্ব। বহু সংস্থা কর্মী ছাঁটাই করে সামাল দিয়েছে উদ্ভূত পরিস্থিতি। তবে এই অবস্থায়ও একজন কর্মীকেও ছাঁটাই (Layoff) করেনি টিসিএস (TCS)। টাটার এই সংস্থা যে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছেও না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কোম্পানির এক শীর্ষ কর্তা। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টিসিএসের চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার মিলিন্দ লাক্কাদ বলেন, টিসিএসে থাকা কর্মীদের ছাঁটাই তো করা হবেই না, উল্টে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কাজ হারানো কর্মীদের আমরা খুঁজছি। দেশের বৃহত্তম এই আইটি প্রতিষ্ঠান ওই কর্মীদের প্রতিভাকে কাজে লাগাবে বলেও জানান তিনি। বিশ্বজুড়ে নানা অছিলায় কর্মী ছাঁটাই করছে বিভিন্ন কোম্পানি। সেখানে উল্টো পথে হাঁটছে টিসিএস।
সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লাক্কাদ বলেন, আমরা (TCS) এটা (ছাঁটাই) করি না। আমরা বিশ্বাস করি কর্মীর প্রতিভাকে কাজে লাগাতে। তাই আমাদের কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না। টিসিএসের এই কর্তা বলেন, অনেক কোম্পানি ছাঁটাইয়ের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। কারণ তারা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লোক নিয়োগ করে। এমতাবস্থায় সতর্ক টিসিএস বিশ্বাস করে কোনও কর্মী যদি আমাদের কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন, তাহলে কোম্পানির দায়িত্বই হল তাঁকে উৎপাদনশীল করে তোলা। লাক্কাদ বলেন, যদি দেখা যায় যে সব কর্মীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই, তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, শেখার জন্য আরও অনেক বেশি সময় দেওয়া হবে।
আরও পড়ুুন: ‘আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি’, প্রকাশ্য সভায় জানালেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী
সম্প্রতি এক লপ্তে প্রচুর কর্মী ছাঁটাই করে খবরের শিরোনামে চলে এসেছে গুগুল। শুধু ভারতের অফিসেই তারা ছাঁটাই করেছে ৪৫৩ জনকে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে এই সংস্থা। শিক্ষা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও চাকরি খুইয়েছেন বহু কর্মী। চাকরি খোয়ানো এই সব দক্ষ কর্মীদেরই খুঁজছে টিসিএস। টিসিএসের (TCS) এই আধিকারিক জানান, এটা (টিসিএস) একটা বিরাট চাঁদোয়ার মতো। বিভিন্ন প্রযুক্তির নানা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি আমরা। আমি মনে করি, ওই সব জায়গায় প্রতিভার প্রয়োজন। যাঁরা আমাদের এখানে যোগ দেবেন। ওই সব কোম্পানিতে যাঁরা ভাল কাজ করতেন, অথচ চাকরি গিয়েছে, আমরা মূলত তাঁদেরই খুঁজছি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: