কুতুব মিনার আসলে বিষ্ণ মিনার। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা এই মিনার নির্মাণ করেছিল।
কুতুব মিনার। (ফাইল ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুতুব মিনার (Qutub Minar) চত্বরে খননকার্যের কোনও নির্দেশ দেয়নি সরকার, এ নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী (Ministry of Culture) জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy)। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, কুতুব মিনারের খনন কাজ শুরু হবে- এজাতীয় কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এমন কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি, বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) বিতর্কের মধ্যেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে কুতুব মিনারকে নিয়ে। সম্প্রতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (ASI) প্রাক্তন কর্তা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে এমন অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে যা দেখে তিনি নিশ্চিত এটি রাজা বিক্রামাদিত্য তৈরি করেছিলেন। তাঁর অভিমত, কুতুব উদ্দিন আইবকের নির্দেশে কুতুব মিনার তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। রাজা বিক্রমাদিত্য সূর্যের গতিবিধি নিয়ে চর্চার জন্য এই মিনার তৈরি করেছিলেন।
আরও পড়ুন: কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য! দাবি প্রাক্তন প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকের
পাশাপাশি আরও অনেকে দাবি করেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ, বা মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদের (Shahi Idgah mosque) মতোই কুতুব মিনারের মধ্যেও হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কুতুব মিনার আসলে বিষ্ণু মিনার। হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীরা এই মিনার নির্মাণ করেছিল। তাই সত্য অনুসন্ধানের জন্য কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকায় খননকার্য চালানোর দাবিও জানিয়েছে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন।
এ প্রসঙ্গে শনিবার এএসআইকে সংস্কৃতি মন্ত্রক তাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনও করেছেন সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব গোপিন্দ মোহন। শনিবার কুতুব মিনার সংলগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ইতিহাসবিদ ও চার এএসআই কর্তা। তাঁরা এ নিয়ে তাঁদের অভিমত জানাবেন। তবে খননকার্য নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রক। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কুতুব মিনারের খনন কার্য ১৯৯১ সালের পর থেকে আর করা হয়নি।