img

Follow us on

Thursday, Sep 19, 2024

National Education Policy: শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ নয়! নয়া শিক্ষানীতি অনুসারে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে পরীক্ষা

নয়া পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের

img

ছবি প্রতীকী।

  2023-04-08 20:02:49

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করল কেন্দ্রের পাঠ্যক্রম কমিটি। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতির অনুসরণ করে তৈরি জাতীয় পাঠ্যক্রম পরিকাঠামো (ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক বা এনসিএফ) অনুযায়ী প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় এ বার নতুন পদ্ধতি আনতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

নয়া নীতি

এনসিএফের নয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, নয়া পদ্ধতিতে তৃতীয় শ্রেণি থেকে লিখিত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘‘পাঠ্যক্রম এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু পড়ুয়াদের উপর বাড়তি চাপ না পড়ে।’’ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হওয়া উচিত যাতে পড়াশোনাটা কোনও পড়ুয়ার কাছেই অতিরিক্ত বোঝা হিসেবে না মনে হয়। খসড়া অনুযায়ী, ফাউন্ডেশন পর্যায়ে, অর্থাৎ ৩ থেকে ৮ বছরের শিশুদের মূল্যায়ন করতে হবে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে। একজন শিশু কতটা শিখছে বা যোগ্যতা অর্জন করছে তার মূল্যায়ন করার অনেক উপায় থাকতে পারে।  প্রামাণ্য নথির মাধ্যমে শিশুদের অগ্রগতি রেকর্ড করা উচিত।

সমীক্ষা করেই সুপারিশ 

কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ২০২২ সালে জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে এ সংক্রান্ত সমীক্ষা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার ফল পর্যালোচনা করেই এই পদক্ষেপের সুপারিশ। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুলাই মাসে নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক। সেখানে প্রথম শ্রেণির আগে তিন বছরের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল। গত বছর অক্টোবরে নিশঙ্কের উত্তরসূরি ধর্মেন্দ্র প্রধান প্রাথমিক এবং প্রাক্‌ প্রাথমিক (অঙ্গনওয়াড়ি) স্তরের শিক্ষার খোলনলচে বদলানোর কথা জানিয়েছিলেন। 

বদল আনতে চলেছে সিবিএসই

এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বড় বদল আনতে চলেছে সিবিএসই। ২০২৪ সালের বোর্ড পরীক্ষার জন্য তৈরি প্রশ্নমালার প্যাটার্নও বদলে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বোর্ড। জানানো হয়েছে, লম্বা উত্তররের প্রশ্নের বদলে এমসিকিউ-র ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতির পথ অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ করবে সিবিএসই।

আরও পড়ুন: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা  ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হলে শিশুরা শৈশবটা অনুভব করতে পারবে বলেও মনে করছেন অভিভাবকেরা। ছোট ছোট কাঁধগুলো বইয়ের ভারে হেলে যাওয়ার পরিবর্তে যদি হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া যায় তা গুরুত্বপূর্ণ ও শিশুর বিকাশে সহায়ক বলে মত শিক্ষাবিদদের। প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ জরুরি। পরীক্ষা পদ্ধতি উঠে গেলে শিশুরা নিজেদের মতো করে বড় হয়ে উঠতে পারবে বলেই বিশ্বাস শিক্ষামহলের।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

national education policy 2020

National Education Policy

primary education

Written Eligibility Test


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর