img

Follow us on

Monday, Nov 25, 2024

Fiscal Health: বাংলা সহ অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য দুর্বল! বলছে গবেষণা

অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য করুণ! দাবি গবেষণাপত্রে

img

প্রতীকী ছবি।

  2023-12-19 18:55:10

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সস্তায় ভোট কুড়োতে খয়রাতি চালু করেছে বাংলার শাসক দল। এতে ঝুলি পূর্ণ হচ্ছে ঘাসফুলের। তবে ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে আর্থিক স্বাস্থ্য (Fiscal Health)। কেবল বাংলা নয়, একই অবস্থা পঞ্জাব এবং কেরলেরও। বলা বাহুল্য, এই তিনটি রাজ্যই শাসন করছে বিজেপি বিরোধী দল। ইএসি-পিএম ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের তথ্যে ধরা পড়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি পরিচালিত রাজ্যগুলির কঙ্কালসার দশার ছবি।

খয়রাতির রাজনীতি

ফি বার নির্বাচনের আগে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেয় রাজনৈতিক দলগুলি। ভোটের পরে সেগুলি পূরণ করার একটা দায়বদ্ধতা থাকে। আর তা করতে গিয়েই ফতুর হয়ে যায় রাজকোষ। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয় আর্থিক স্বাস্থ্য। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরা যাক। এখানে লক্ষ্মীর ভান্ডারে অনুদান পান মহিলারা। দুর্গাপুজো করতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হয় মোটা টাকা। এসব করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ। কোনও রাজ্য আবার ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডার দেয়। নিখরচায় জল, বিদ্যুৎও দেওয়ার কথা ঘোষণা করে কোনও কোনও রাজ্য। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। এই সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে বিস্তর খরচ করতে হয়। ফাঁকা হয়ে যায় রাজকোষ (Fiscal Health)। বিভিন্ন সময় এই খয়রাতি রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাই বিজেপি এই জাতীয় প্রতিশ্রুতি না দিলেও, পদ্ম-বিরোধী দলগুলি দেয়।

কী বলছে গবেষণা?

ইএসি-পিএম (প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি)-এর সদস্য শমিকা রবি ও ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের মুদিত কাপুর ‘ভারতে রাজ্যের বিজেট: ১৯৯০-২০২০ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণমূলক সময়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক গবেষণাপত্রে ভারতের রাজ্যগুলির আর্থিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতের একমাত্র রাজ্য হিসেবে বিহারের প্রবৃদ্ধির হার ক্রমশ কমেছে। বিহারের প্রকৃত মাথাপিছু আয় ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অপরিবর্তিত ছিল।

আরও পড়ুুন: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

কোনও রাজ্য উন্নয়নমূলক ব্যয় বেশি করলে সেই রাজ্যের আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল ধরে নেওয়া হয়। ওই গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে উন্নয়ন ব্যয় ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। ২০২০ সালে সেটাই নেমে এসেছে প্রায় ৬০ শতাংশে। পঞ্জাব ও কেরলে উন্নয়ন ব্যয়ের অংশ ৫০ শতাংশেরও কম। অথচ অন্য রাজ্যগুলিতে এটি ৫০ শতাংশের বেশি।

কেরল ও পঞ্জাবে গত এক দশকে সুদের অর্থ প্রদান ও ঋণ পরিষেবার অংশও বেড়েছে। কেরলে এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশ। আর পঞ্জাবে ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যয়ের সুদ পরিশোধ ও ঋণ দেওয়ার পরিমাণ সর্বভারতীয় স্তরের চেয়ে বেশি। রবির মতে, পঞ্জাব ও কেরলের এই প্রবণতা (উন্নয়ন ব্যয় কমে যাওয়া) তাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধ ও বিকাশের জন্য ভাল ইঙ্গিত নয় (Fiscal Health)।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Tags:

Madhyom

West Bengal

bangla news

Bengali news

Punjab

Kerala

news in bengali

Fiscal Health

non bjp ruled state

bad fiscal health


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর