মুকুলকে দেওয়া হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC)-সঙ্গ অস্বীকার করলেন প্রবীণ নেতা তথা কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। সোমবার রাতে আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল। বুধবার সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনওদিন তৃণমূলে ছিলাম না। তাই ইস্তফা দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে দূরত্ব হেতু ২০১৭ সালে ঘাসফুল শিবির থেকে সরে আসেন মুকুল রায়। পরে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮টি আসন পায় বিজেপি। ২ থেকে ১৮টিতে পৌঁছানোর জন্য রাজনৈতিক মহলের একাংশ মুকুল ফ্যাক্টরের পক্ষেই সওয়াল করে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তরে প্রার্থী হন মুকুল। জয়ীও হন। বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে পরেই তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। তৃণমূল ভবনে গিয়ে দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তিনি (Mukul Roy) ফেরেন ঘাসফুল শিবিরে। পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ। এনিয়ে বিধানসভায় হইচই হয় বিস্তর।
আরও পড়ুুন: পাখির চোখ কর্নাটক বিধানসভার ভোট, তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ বিজেপির
মুকুলের এই ‘দলবদলে’র কারণে স্পিকারের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিজেপি নেতৃত্ব। এমতাবস্থায় স্ত্রী বিয়োগ হয় মুকুলের। তারপর বেশ কিছুদিন আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মুকুলকে। বুধবার সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছি আমি। আমি সব সময় বিজেপির সঙ্গে থাকব। দল আমাকে যে কাজ দেবে, তাই করব। মুকুল দিল্লি যাওয়ার পরে মিসিং ডায়েরি করেন পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, তাঁর বাবার মানসিক অসুস্থতার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাঁর বদনাম করার চক্রান্ত হচ্ছে বলেও দাবি শুভ্রাংশুর। ছেলের দাবি উড়িয়ে দিয়ে মুকুল (Mukul Roy) দাবি করেন, সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: