মুঘল আমলে এই মসজিদের সিঁড়ির নীচে হিন্দু দেবদেবীদের সমাহিত করা হয়েছে, প্রতিদিন পদদলিত হচ্ছেন বিগ্রহ...
আগ্রা ফোর্ট। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নমাজ (Namaz) বন্ধের দাবি উঠল আগরা ফোর্টের ভিতরে থাকা মসজিদে। এই দুর্গের ভিতরে রয়েছে 'বেগম কি মসজিদ' (Begum ki Masjid)। এই মসজিদেই নমাজ বন্ধের দাবি উঠেছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, মুঘল আমলে এই মসজিদের সিঁড়ির নীচে হিন্দু দেবদেবীদের সমাহিত করা হয়েছে। তাই মসজিদে নমাজ পাঠ বন্ধ করতে হবে বলে দাবি ওই সংগঠনের। শুক্রবার এই মর্মে মথুরা আদালতে আবেদন করেন মহেন্দ্র প্রতাপ সিং সহ আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে নিষিদ্ধ করা হোক মুসলমানদের প্রবেশ, আদালতে ভিভিএসএস প্রধান
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ (Kashi Viswanath Temple-Gyanvapi Mosque controversy) বিতর্কের জেরে সরগরম গোটা দেশ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque)। মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের (Mughal emperor Aurangzeb) নির্দেশে ওই মন্দির ভাঙা হয়েছিল। গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ। পরবর্তীকালে ফের মন্দির গড়ে ওঠে। এই মন্দির তৈরি করেন রানি অহল্যাবাই। সেই মন্দিরই এখনও রয়েছে।
জ্ঞানবাপী বিতর্কের মধ্যেই লাউডস্পিকার ব্যবহার করে আজান নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদে (Shahi Idgah Mosque)। বৃহস্পতিবার নতুন করে মথুরা আদালতে আবেদন করে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের দাবি, মথুরার একটি জমিতে রয়েছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মন্দির। এই জমিরই একাংশে রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, যে জায়গায় মসজিদটি রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ (Shri Krishna Janmabhoomi)। তাই শাহি ইদগাহ অপসারণের দাবি জানিয়ে হয়েছে মামলা।
আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে মিলল পুরনো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, হিন্দু মোটিফ!
এই মামলা চলাকালীনই এবার নমাজ বন্ধের দাবি উঠল আগ্রা ফোর্টের ভিতরে থাকা মসজিদে।আবেদনকারীদের দাবি, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমিতে থাকা মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। আগরা ফোর্টের ভিতরের মসজিদের সিঁড়ির নীচে সমাহিত করেছিলেন মন্দিরের বিগ্রহদের। মহেন্দ্র বলেন, নমাজ পড়তে যখন লোকজন মসজিদে আসেন তখন নিত্য পদদলিত হন দেবতারা। এটা হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত করে। তাই মসজিদে নমাজ নিষিদ্ধ করা উচিত।
আদালত অবশ্য এই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। অভিযোগকারীকে নোটিশও দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে। প্রসঙ্গত, ইউনেস্কোর (UNESCO) তালিকায় রয়েছে আগরা ফোর্ট (Agra Fort)। মুঘল রাজাদের দ্বারা সেটি নির্মিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, মুঘল আমলে বহু মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল। জোর করে ধর্মান্তকরণও করা হত। সেই সময়ই এই মন্দিরগুলি ভেঙে মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল কিনা, সেটাই দেখার।