আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে চিত্রাকে...
সিবিআই তল্লাশি। ছবি: প্রতীকী
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে নতুন করে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) প্রাক্তন প্রধান চিত্রা রামকৃষ্ণ, রবি নারায়ণ এবং মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার (Ex Mumbai Police Commissioner) সঞ্জয় পাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ (Phone Tapping Case) দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
আগেই চিত্রাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। নারায়ণকে জেরা করা হয়েছে। আর পান্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, মুম্বই এবং দিল্লি সহ দেশের ১৮টি জায়গায় ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে তল্লাশি করেছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এই সূত্রেই জানা গিয়েছে, পাণ্ডের ফার্মে এনএসই কর্মীদের ওপর অবৈধভাবে নজরদারি চালাতেন এনএসইর প্রাক্তন প্রধানরা। এই অভিযোগেরও পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : রুজিরা নারুলাকে চেনেন না রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়লাপাচার তদন্তে গোলকধাঁধায় সিবিআই-ইডি
সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পাণ্ডেকে টানা পাঁচ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগও রয়েছে। পাণ্ডে ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার। জুন মাসের ৩০ তারিখে অবসর নেন তিনি। পাণ্ডেকে দিল্লির ইডি অফিসে ডেকে জেরা করা হয় চলতি মাসের পাঁচ তারিখে।
সূত্রের খবর, সিবিআই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির তদন্ত চালানোর সময় আইসেক সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে। এর সঙ্গে পাণ্ডের পরিবারের লোকজনও যুক্ত। এই কো-লোকেশন কেলেঙ্কারির তদন্ত শুরু করেছে ইডি। এ ব্যাপারে অবশ্য পাণ্ডের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন : ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণদের তথ্য চাইল সিবিআই, স্কুলে স্কুলে গেল নির্দেশ
জানা গিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে পাণ্ডেকে যখন পুলিশ কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করে এমভিএ সরকার, তখন তাঁকে একবার সিবিআই ডেকেছিল। সেই সময় মহারাষ্ট্রের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির সাক্ষী হিসেবে। এখন ফের পাণ্ডেকে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। এখন অবশ্য অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধেই। তদন্তকারী এক আধিকারিক বলেন, পাণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করাটা খুবই জরুরি। তাঁকে জেরা করলেই বহু তথ্য সামনে আসবে।