বেণুগোপাল জানিয়েছেন, নীতিগত এবং যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে না।
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সমালোচনার মামলায় প্রাক্তন বিচারক ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার অনুমতি দিলেন না দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল (Attorney General KK Venugopal)।
আদালত অবমাননা আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টে কোনও ব্যক্তি যদি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চান, তা হলে অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্মতি প্রয়োজন হয়। তাই আইনজীবী সিআর জয় সুকিন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপালের কাছে দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি এসএন ধিংড়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। বেণুগোপালকে পাঠানো আবেদনে ওই আইনজীবী লিখেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট নূপুর মামলায় যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন, বেআইনি এবং অনৈতিক বলে অভিহিত করেছেন বিচারপতি ধিংড়া।’ পাশাপাশি সুকিন সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কড়া সমালোচনার অভিযোগে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি ও প্রবীণ আইনজীবী কে রামকুমারের বিরুদ্ধেও অবমাননার মামলা শুরু করার আবেদন জানান বেণুগোপালের কাছে। এই দু’জনের বিরুদ্ধেও সুপ্রিম কোর্টের নূপুর পর্যবেক্ষণের সমালোচনার অভিযোগ করেছেন সুকিন।
আরও পড়ুন: ৩৩ কোটি হিন্দু দেব দেবীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন! দুঃখিত আজমীর শরিফের ধর্মগুরু আদিল চিস্তি
যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল সুকিনের আবেদনে সাড়া দেননি। বেণুগোপাল জানিয়েছেন, নীতিগত এবং যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে না। তাই নতুন করে মামলা শুরু করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, পয়গম্বরকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশে বিভিন্ন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়র করা হয়। নূপুর সেই সমস্ত অভিযোগকে এক সঙ্গে দিল্লিতে স্থানান্তরের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নূপুরকে ভর্ৎসনা করে এবং বলে, দেশে যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য একা নূপুর দায়ী। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণে আপত্তি জানান দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ধিংড়া-সহ কয়েক জন।