Tihar Jail: জেলের রেকর্ড অনুযায়ী, ৮০ বছরের ওপরে মোট ৭ জন বন্দি আছে তিহার জেলে, যাদের মধ্যে চৌটালাই সবচেয়ে বয়স্ক...
তিহার জেলে ওম প্রকাশ চৌটালা। ফাইল ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলের (Tihar Jail) ১৯,৫৮৪ বন্দির মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Haryana Chief Minister) ওম প্রকাশ চৌটালা (Om Prakash Chautala)। বয়স ৮৭ বছর। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির (dispropotionate assets) মামলায় ওম প্রকাশ চৌটালাকে চার বছরের হাজতবাসের সাজা শুনিয়েছে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালত। সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানাও দিতে হবে তাঁকে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চৌটালাকে আরও দুই বন্দির সঙ্গে রাখা হবে ২ নম্বর জেলের একটি সেলে। জেলের রেকর্ড অনুযায়ী, ৮০ বছরের ওপরে মোট ৭ জন বন্দি আছে তিহার জেলে, যাদের মধ্যে চৌটালাই সবচেয়ে বয়স্ক। ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে রয়েছে ৬৩ জন বন্দি। চৌটালা জেলে আসার আগে ৮৫ বছরের এক খুনের অপরাধী ওই জেলে সচেয়ে বয়স্ক ছিল।
৭০ বছরের ওপরের সব বন্দির জন্যেই বয়সের কথা মাথায় রেখে একটি করে বিছানা বরাদ্দ করা হয়। চৌটালার জন্যেও করা হয়েছে। বয়স্ক বন্দিদের জেলে কোনও কাজও করানো হয় না। জেলের এক আধিকারিকের কথায়, "বয়স্কদের শোয়ার জন্যে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়। চৌটালাও তা পাবেন। বয়স্ক বন্দিদের খেয়াল রাখার জন্যে তাঁদের সঙ্গে একজন করে থাকে। বিশেষত যেসব বন্দিদের ব্যবহার ভালো এবং বয়স্কদের খেয়াল রাখতে চায়, তাঁদের এই কাজে বহাল করা হয়।"
আধিকারিক আরও জানান, "এই বন্দিরা বয়স্কদের কাপড় ধোয়া এবং যাবতীয় কাজ করে। এমনকি তাঁদের স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখে। ডাক্তারদের পরামর্শে বয়স্ক বন্দিদের জন্যে বিশেষ খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।"
এই সব সুযোগই পাবেন ওম প্রকাশ চৌটালা। জেলে নিজের জামাকাপড়ও কাচতে হবে না চৌটালাকে। তাঁর দৈনন্দিন কাজগুলি করে দেবে অন্য কেউ। এরই পাশাপাশি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হবে তাঁর।
২১ মে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির মামলায় হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউর বিশেষ আদালত। আদালত জানায়, আয়ের চাইতে প্রায় একশো তিন গুণ সম্পত্তি রয়েছে চৌটালার। যা অঙ্কের সহজ হিসেবে কোনওভাবেই মিলছে না। আদালত আরও বলে যে, নিজের সাফাইয়ে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে কীভাবে বিপুল সম্পত্তি জমা করেছেন তিনি, তার স্পষ্ট কোনও জবাব নেই।
২০০৫ সালে চৌটালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিবিআই (CBI)। এরপর ২০১০ সালে ২৬ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি হয়েছে চৌটালার।