PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ, শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে পারে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল
এক দেশ এক নির্বাচন বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ফাইল চিত্র
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সভাপতিত্বে "এক দেশ, এক নির্বাচন" বিলে (One Nation One Election Bill) বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, সংসদের চলমান শীতকালীন (Parliament Winter Session) অধিবেশনেই পেশ করা হবে এই বিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি ধারাবাহিকভাবে একযোগে নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন। এই বিলকে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
‘এক দেশ, এক ভোট’ চালু করার জন্য বুধবারও জোরদার সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ার কারণে দেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বার বার নির্বাচনের ফলে দেশের উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে কোনও না কোনও সময় কোথাও না কোথাও নির্বাচন হয়েই চলেছে। লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেলে বিধানসভা নির্বাচন আসে। হরিয়ানা, জম্মু এবং কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সামনেই দিল্লিতে নির্বাচন রয়েছে। বারো মাস ধরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলে কোনও কোনও রাজ্যে। এর ফলে দেশের বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।’’
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি অনেক দিন ধরেই আগ্রহী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহারেও এ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এই নিয়ম কার্যকর হলে সারা দেশে একসঙ্গে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ ধারণাকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ সংস্কার বলে অভিহিত করেছে। দলের মতে, এই বিল এলে সাশ্রয়ী শাসন ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশে জোর ধাক্কা পোশাক শিল্পে! ভারত হতে পারে বিশ্বের নয়া গন্তব্য
‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election Bill) ব্যবস্থা চালুর ব্যাপারে মোদি সরকারের যুক্তি, এই ব্যবস্থা চালু হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা কমে যাবে। ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বার বার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না এবং তার সঙ্গে সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত নানা কাজকর্মের চাপ কমবে। একসঙ্গে বিধানসভা এবং লোকসভার ভোট হলে ভোটের হার বাড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে। রাজনৈতিক দলগুলিও সারা বছর ভোটপ্রচারের ঝক্কি না থাকায় মানুষের কাজে অনেক বেশি মনোনিবেশ করতে পারবে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুমোদন করেছিল। বিশদে আলোচনার জন্য বিলটি যৌথ সংসদীয় কমিটি বা জেপিসিতে-ও পাঠানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।