বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি কেউ বিয়ে না করেন তাহলে তাঁকে ‘ধর্ষক’ বলা যায় না।
ওড়িশা হাইকোর্ট।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার সঙ্গে সহবাস করা বা তাঁর সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করা ধর্ষণের সমান নয়,সদ্য এমনই রায় জানাল ওড়িশা হাইকোর্ট (Consensual Sex On Marriage Promise Not Rape)। ওড়িশা হাইকোর্টের (Ordisha High Court) এক বিচারপতির বেঞ্চ এই সংক্রান্ত এক অভিযুক্তের জামিন মামলায় এই রায় দিয়েছে। বিচারপতি পাণিগ্রাহি তাঁর রায়ের ব্যাখ্যায় জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসকে ধর্ষণ বললে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার অপব্যাখ্যা করা হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি কেউ বিয়ে না করেন তাহলে তাঁকে ‘ধর্ষক’বলা যায় না।
সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযুক্ত, নিমাপডাবাসী এক মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অভিযোগ তারপর আচমকাই সেই ব্যক্তি বেপাত্তা হয়ে যায়। অভিযোগকারিণী নিমাপাডা থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ সেই ব্যক্তিকে আটক করে ধর্ষণের মামলা রুজু করে। অভিযুক্ত নিম্ন আদালতে জামিনের আর্জি জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। এরপরই অভিযুক্ত হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়। সেই মামলার বিচার চলাকালীনই ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব পানিগ্রাহি রায় দিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্মতিক্রমে শারীরিক সম্পর্ক কখনওই ধর্ষণ নয়। ওই যুবককে শর্তসাপেক্ষে জামিনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়াও বিচারপতি বলেছেন,নির্যাতিতাকে কোন রকম হুমকি না দিয়ে, ঘটনার তদন্তে ওই যুবক যেন পুরোপুরি সহায়তা করেন পুলিশদের।
আরও পড়ুন: ফের ৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে সিবিআই
বিচারপতি তাঁর রায়ের ব্যাখ্যায় আরও জানান, এই বিষয়ে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনটিকে কোনও সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত নয়। বিশেষ করে একজন মহিলা যখন সম্পূর্ণ নিজের পছন্দে কোনও সম্পর্কে প্রবেশ করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে পুরুষদের যৌন লালসার শিকার হন গ্রামের দরিদ্র অংশের মহিলারা। ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন প্রায়শই তাদের দুর্দশা দূর করতে ব্যর্থ হয়। এই পরিস্থিতি খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।