ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপরে আক্রমণ চালানোর জন্য ৬ মাস প্রশিক্ষণ নিই। সঙ্গী জঙ্গিদের বিশ্বাসঘাতকতার জেরেই ধরা পড়লাম।
হাসপাতালে পাক জঙ্গি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সেনার (Indian Army) উপর হামলা চালানোর জন্য টাকা দিয়েছিল পাক সেনা (Pakistan Army) কর্নেল ইউনুস চৌধুরি। জানাল, ভারতীয় সেনার জালে ধরা পড়া এক পাকিস্তানি জঙ্গি (Pak Terrorist)। সেনা সূত্রে খবর, ২১ অগাস্ট জম্মুর রাজৌরি জেলায় নওশেরার ঝাঙ্গর সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গিরা। কিন্তু নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পুঁতে রাখা মাইন ফিল্ডের ফাঁদে পড়ে যায় তারা।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Control) বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি দেখতে পান জওয়ানরা (Army Jawans)। পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতের জমিতে অনুপ্রবেশের (Terrorists Infiltration) চেষ্টা করতে দেখা যায় কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীকে। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কিছুটা ঢুকেও পড়ে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট ওই জেহাদিরা। কিন্তু সেখানে পেতে রাখা মাইন ফিল্ডে পা দিতেই বিস্ফোরণে খতম হয় দু’জন জঙ্গি। আহত অবস্থায় ধরা পড়ে তাবারক হোসেন (Pak Militant Tabarak Hussain) নামের এক সন্ত্রাসবাদী। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। ধৃত জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলার সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা। জেরায় সে জানায়, পাক সেনার কর্নেল ইউনুস চৌধুরি তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ভারতীয় সেনার উপর হামলার নির্দেশ দেয়।
#WATCH | Tabarak Hussain, a fidayeen suicide attacker from PoK, captured by the Indian Army on 21 August at LOC in Jhangar sector of Naushera, Rajouri, says he was tasked by Pakistan Army's Col. Yunus to attack the Indian Army for around Rs 30,000 pic.twitter.com/UWsz5tdh2L
— ANI (@ANI) August 24, 2022
তাবারক হোসেনের কথায়, "আরও চার পাঁচজনের সঙ্গে আমি এখানে একটি আত্মঘাতী হামলার উদ্দেশে এসেছিলাম ৷ ভারতীয় সেনার ১-২ টো চৌকিতে রেকিও করেছি আমরা৷ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর রজ্জাকের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছি আমি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপরে আক্রমণ চালানোর জন্য ৬ মাস প্রশিক্ষণ নিই। পাকিস্তানি সেনা পরিচালিত লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবিরেও একাধিকবার গিয়েছি।" সঙ্গী জঙ্গিদের বিশ্বাসঘাতকতার জন্যই সে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে বলে অভিযোগ তাবারকের ৷
আরও পড়ুন: বিক্রান্তের জন্য ২৬টি যুদ্ধবিমান! দৌড়ে এগিয়ে কে?
রজৌরির (Rajouri) সেনা হাসাপাতালের কম্যান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার রাজীব নায়ার জানিয়েছেন, হুসেনের অবস্থা স্থিতিশীল ৷ তাকে রক্ত দেওয়া হয়েছে ৷ খাওয়ানোও হয়েছে ৷ ঘটনাচক্রে, একই সেক্টর থেকে ২০১৬ সালেও তাবারক হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল ভারতীয় সেনা। সে বার তার সঙ্গে ধরা পড়ে তার ভাই হারুন আলিও। মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয় দুজনকেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।