মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির পাক দূতাবাসে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেন এক ভারতীয় মহিলা। পেশায় অধ্যাপক ওই মহিলার অভিযোগ, নয়া দিল্লির পাকিস্তান দূতাবাসে তিনি ভিসার আবেদন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক কর্তা তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছে। মহিলার দাবি, লাহোরে যাওয়ার জন্য পাক ভিসা দরকার ছিল তাঁর। ভিসার আবেদন করার জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেছিলেন তিনি। ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় তাঁকে বেশ কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন করেন পাক দূতাবাসের জনৈক কর্তা তাহির আব্বাস।
কী ঘটেছিল
এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই আধিকারিকদের ছেড়ে কথা বলবে না পাকিস্তান, এমনই অভিমত পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচের। মুমতাজ বলেন, ‘‘আমাদের দূতাবাসে আসা কোনও ব্যক্তির সঙ্গে দুর্ব্যবহার আমরা মেনে নেব না। এই অভিযোগ শুনে আমরা হতবাক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ওই সিনিয়র অধ্যাপিকা জানান, ভিসার ইন্টারভিউয়ের সময় পাক দূতাবাসের এক কর্তা, তাঁর লাহোর সফরের উদ্দেশ্য জিজ্ঞেস করেছিলেন। অধ্যাপিকা জানিয়েছিলেন, তাঁকে লাহোরের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি লাহোরের বিভিন্ন স্মৃতিসৌধের ছবি তুলতে চান। এরপরই ওই ঘরে প্রবেশ করেছিলেন পাক দূতাবাসের আরেক কর্তা।
নিন্দা পাকিস্তানের
অধ্যাপিকার দাবি, এরপর তাহির আব্বাস তাঁকে একের পর এক অস্বস্তিকর প্রশ্ন করা শুরু করেছিল। তিনি বলেছেন, “তিনি আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি বিয়ে করিনি কেন? বিয়ে না করে আমি কীকরে জীবন কাটাই? আমার যৌন চাহিদা মেটাতে আমি কী করি?” শুধু তাই নয়, এক সময় ওই পাক কর্তা তাঁর হাতও চেপে ধরেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধাচরণ করে নিবন্ধ লেখার প্রস্তাবও দেওয়া হয় তাঁকে। এ প্রসঙ্গে মুমতাজ বলেন, ‘‘পাকিস্তান সমস্ত ভিসা আবেদনকারীদের প্রতি যথাযথ আচরণ করে। আমাদের সমস্ত কূটনৈতিক কর্মীকে পেশাদার আচরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
+ There are no comments
Add yours