বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে আনসারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদিশ আগরওয়াল।
গৌরব ভাটিয়া
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাংবাদিকের বেশে ভারতে আসা পাক গুপ্তচর ইস্যুতে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।
সম্প্রতি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, "পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে চেনেন না প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। ২০০৯ বা ২০১০ সালে সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও সম্মেলনে ওই সাংবাদিককে কখনও তিনি আমন্ত্রণ জানাননি।" আর এর পরেই প্রমাণ নিয়ে হাজির হয় বিজেপি। শুক্রবার একটি ছবি প্রকাশ করে বিজেপি দাবি করেছে পাক চর নুসরত মির্জার সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি। পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা এর আগেই দাবি করেছেন, ইউপিএ ভারতের সরকারে থাকাকালীন তিনি পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে পাচার করেছিলেন। এমনকি মির্জা এও দাবি করেন, হামিদ আনসারির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এরপরই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া (Gaurav Bhatia)। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত একটি সম্মেলেনে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি ও নুসরত মির্জা।
আরও পড়ুন: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের
নুসরত মির্জা আরও দাবি করেছিলেন, হামিদ আনসারি নাকি বেশ কিছু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হামিদ আনসারি। গৌরব ভাটিয়া এদিন বলেন, "এরকম অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে সবুজ সঙ্কেত নিতে হয়। তখন মুম্বই হামলার এক বছরও কাটেনি। তার মধ্যেই আইএসআই চরকে ভারতে আতঙ্কবাদ নিয়ে বক্তৃতা দিতে ডাকা হল?"
আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি
এদিকে বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে আনসারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদিশ আগরওয়াল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। সেই সম্মেলনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সম্মেলনে সাংবাদিক মির্জাকে আমন্ত্রণ করার জন্যে উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁর ওপর চাপ এসেছিল। তিনি রাজী না হওয়ায় উপরাষ্ট্রপতি কার্যালয় তাঁর ওপর রুষ্ট হয়।"