তিনি অলঙ্কৃত করেছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৩ জানুয়ারি। নেতাজি (Netaji) সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৬তম জন্ম দিবস। ২০২১ সাল থেকে ফি বছর নেতাজির এই জন্মদিনটি পালিত হয় পরাক্রম দিবস হিসেবে। তিনি ছিলেন অসম সাহসী যোদ্ধা। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান স্মরণে রেখেই তাঁর জন্মদিনটিকে পালন করা হয় পরাক্রম দিবস (Parakram Diwas) হিসেবে। ২০২১ সালে পালিত হয় নেতাজির ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী। সে বারই প্রথম দিনটিকে পরাক্রম দিবস হিবেসে পালনের কথা ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা এবং অসমে দিনটি ছুটির দিন হিসেবে পরিচিত। এদিন ভারত সরকারও শ্রদ্ধা জানায় নেতাজিকে।
নেতাজির জন্মদিনে বিভিন্ন জায়গায় ছুটি দেওয়া হয়। তার কারণ, দেশের প্রতি নেতাজির অবদান স্মরণ এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে আস্ত একটা দিন। তাঁর নির্ভীক হৃদয় এবং লড়াই ত্বরান্বিত করেছিল দেশের স্বাধীনতা। তিনি ছিলেন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী, রাজনীতিবিদ এবং স্বাধীনতা যোদ্ধা। দেশবাসী, বিশেষত তরুণদের মধ্যে সাহস জোগাতে দিনটিকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। নেতাজির শক্তি, দূরদৃষ্টি, নিঃস্বার্থপরতা এবং দেশপ্রেম আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তামাম ভারতবাসী। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজের অবদানও কম নয়। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন তিনিই।
১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটক শহরে জন্মগ্রহণ করেন নেতাজি (Parakram Diwas)। দর্শনশাস্ত্রে ডিগ্রি লাভ করার পর তিনি পাশ করেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। যেহেতু তিনি ব্রিটিশ সরকারের অধীনে চাকরি করবেন না বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন, তাই ইস্তফা দিয়ে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরে আসেন ১৯২১ সালে। এর ঠিক দু বছর আগে তিনি গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে। ভারতে ফিরে তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের সংস্পর্শে আসেন। পরবর্তীকালে এই চিত্তরঞ্জনই তাঁর রাজনৈতিক মেন্টর হিসেবে কাজ করেন। তিনিই নেতাজিকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রসে যোগ দিতে উৎসাহিত করেন। ১৯২১ সালেই কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। স্বামী বিবেকানন্দকে তিনি আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে বিবেচনা করতেন। ১৯৩৮ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত তিনি অলঙ্কৃত করেছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির পদ। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, তোমরা আমাকে রক্ত দাও...আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।