রাজস্থানে ললিতের ডেরায় কী কী মিলল জানেন?
অর্ধদগ্ধ মোবাই এবং ললিত ঝা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে ললিতের (Parliament Security Breach) ডেরায় মিলল পোড়া মোবাইলের অংশ। বেশ কিছু আধপোড়া কাপড় এবং জুতোও উদ্ধার করেছে দিল্লি পুলিশ। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে প্রথমে ভাঙা হয়েছিল মোবাইলগুলি। পরে সেগুলিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন।
লোকসভাকাণ্ডে শনিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে ষষ্ঠ অভিযুক্ত মহেশ কুনাওয়াতকে। ঘটনার পর এই মহেশই মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে দিল্লি থেকে মরুরাজ্যে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। মহেশকে গ্রেফতার করার পর স্পষ্ট হয়ে যায় পুরো সিনারিওটা। গত বুধবার, ঘটনার দিন লোকসভার অধিবেশন কক্ষে (Parliament Security Breach) যখন ঢুকে পড়েছিল দুই হানাদার, ঠিক সেই সময়ই সংসদ চত্বরে ‘তানাশাহি নেহি চলেগি’, ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’ দিচ্ছিল আরও দুজন। মোবাইলে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করছিল ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।
অপারেশনের আগে সে-ই বাকি চারজনের (সংসদের ভেতরে দুজন, বাইরে দুজন) মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছিল। ঘটনার পরে পরেই দিল্লি ছেড়ে ললিত পালিয়ে যায় রাজস্থানে। সেখানে গিয়েই প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে মোবাইল ফোনগুলি ভেঙে লাগিয়ে দেয় আগুন। এসব করার আগে ‘ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাব’ ফেসবুক পেজের এক বন্ধুর সঙ্গে মোবাইলে ললিত কথা বলেছিল বলেও জেনেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, রাজস্থানে যেখানে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল ললিত, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে আধপোড়া মোবাইল, কাপড় এবং জুতো।
আরও পড়ুুন: “সংসদের ঘটনার গুরুত্বকে ছোট করে দেখা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী
এদিকে, সংসদ সদস্য বিজেপির প্রতাপ সিনহাকে তদন্তের স্বার্থে তলব করতে পারে দিল্লি পুলিশ। এই প্রতাপের ভিজিটর পাশ নিয়েই লোকসভার দর্শক গ্যালারিতে ঢুকে পড়েছিল সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন। শুক্রবার অভিযুক্তদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছিল পুলিশ। কীভাবে তারা সংসদ চত্বরে ঢুকল, আর কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সবই ধৃতদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
VIDEO | Mahesh Kumawat, sixth accused arrested in Lok Sabha security breach case, sent to 7-day police custody by Delhi court. pic.twitter.com/y64QLqRNmO
— Press Trust of India (@PTI_News) December 16, 2023
প্রসঙ্গত, লোকসভার অধিবেশন চলাকালীনই দর্শক গ্যালারি থেকে লাফিয়ে অধিবেশন কক্ষে পড়েছিল সাগর ও মনোরঞ্জন। পরে জুতোয় লুকিয়ে রাখা রং-বোমা ফাটায়। প্রথম হকচকিয়ে গেলেও, পরে তাদের ধরে ফেলেন দুই সাংসদ। মার্শাল ডেকে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের হাতে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Parliament Security Breach)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।