লোকসভাকাণ্ডে গ্রেফতার মহেশ, সে কে, জানেন?
এই সেই ষষ্ঠ অভিযুক্ত, মহেশ। (বাঁদিকে), লোকসভার সেদিনের ছবি। (ডানদিকে)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভাকাণ্ডে (Parliament Security Breach) গ্রেফতার আরও এক। দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার মহেশ কুমাওয়াত। এনিয়ে ওই ঘটনায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হেফাজতে নিয়ে মহেশকে জেরা করতে চাইছে পুলিশ। এই মহেশই লোকসভাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝাকে দিল্লি থেকে পালাতে সাহায্য করেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরেই গ্রেফতার করা হয় ললিতকে। শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে মহেশকে। যদিও আগেই আটক করা হয়েছিল তাকে। এদিন সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে দিল্লি পুলিশের দাবি, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা। তবে কেন তারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাল, ঘটনার নেপথ্যেই বা কারা, এই হামলার পেছনে শত্রু কোনও দেশ বা জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মহেশ রাজস্থানের নাগৌর জেলার বাসিন্দা। ঘটনার পর দিল্লি থেকে পালিয়ে মরুরাজ্যে মহেশের ডেরায়ই গা ঢাকা দিয়েছিল ললিত। ললিতের সঙ্গে মিলে মহেশও ঘটনার দিন ধৃত চারজনের মোবাইল ফোনগুলি নষ্ট করেছিল বলেই দাবি পুলিশের। মহেশের সম্পর্কিত এক ভাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে (Parliament Security Breach) পুলিশ। তবে তাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জেনেছে, অভিযুক্তরা দু রকমের পরিকল্পনা করেছিল। ম্যারাথন জেরায় ললিত পুলিশকে জানিয়েছে, প্ল্যান-এ ব্যর্থ হলে প্রয়োগ করা হত প্ল্যান-বি। সংসদের ভেতরে দুজন নয়, তিনজনের হানা দেওয়ার কথা ছিল। সাগর শর্মা এবং মনোরঞ্জন ডি ছাড়াও আর যার হানা দেওয়ার কথা ছিল, সে-ই হল মহেশ। পরে অবশ্য বদলানো হয় পরিকল্পনা। কারণ ঘটনার পর দিল্লি থেকে পালিয়ে গিয়ে মহেশের ডেরায় ওঠার কথা ছিল হানাদারদের। তাছাড়া, দর্শক হিসেবে সংসদে ঢোকার পাস ছিল সাগর ও মনোরঞ্জনের কাছে। তাই এই দুজনই লোকসভায় ঢুকবে বলে ঠিক হয়েছিল। রং-বোমা জ্বালিয়ে সংসদের দিকে যাওয়ার দায়িত্ব বর্তেছিল অমল শিন্ডে ও নীলম আজাদের ওপর।
আরও পড়ুুন: 'চোরেরা সব ভিতরে ঢুকবে', তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর
আর প্ল্যান-বি অনুযায়ী, অমল ও নীলম সংসদের কাছে পৌঁছতে না পারলে, অন্য দিক দিয়ে কৈলাস ও মহেশ রং-বোমা জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে দিতে যাবে সংসদের দিকে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কৈলাস ও মহেশের হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিশাল শর্মা ওরফে ভিকির বাড়িতে পৌঁছতে না পারায় এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় অমল ও নীলমকে। বিশালকে আটক করা হলেও গ্রেফতার করা হয়নি (Parliament Security Breach) শনিবার সন্ধে পর্যন্ত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।