কিস্তির মাধ্যমেও কেনার সুযোগ রয়েছে ওই বালতির!
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা প্লাস্টিকের বালতির দাম ২৬ হাজার টাকা! একটা প্লাস্টিকের মগ প্রায় ১০ হাজার টাকা! না, কোনও চোখের ভুল নয়। একদম ঠিক পড়ছেন। জনপ্রিয় অনলাইন রিটেল স্টোর (online fretail store) আমাজনের ওয়েবসাইটে এমনই ডিসপ্লের দেখা মিলেছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। সকলেই বলছেন, যত কাণ্ড আমাজনে!
কোনও জিনিস অনলাইনে কেনার কথা হলেই প্রথমেই যে ই-কমার্স (e-commerce) প্ল্যাটফর্মের কথা মনে পড়ে তা হল আমাজন (Amazon)। আর এই আমাজনের এমন কাণ্ড দেখে রীতিমত শোরগোল পড়়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। সম্প্রতি, একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আমাজনে এমন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অত্যন্ত সাধারণ পণ্যের পাশে অস্বাভাবিক মূল্য হেঁকে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাজন ওয়েবসাইটের ছবি তুলে দেখানো হয়েছে, সামান্য প্লাস্টিকের বালতি ২৫,৯৯৯ টাকায় এবং প্লাস্টিকের মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, মজাদার বিষয় হল, যখন বালতিটির আসল দাম জানা গেল। কারণ বালতিটির আসল দাম হল ৩৫,৯০০ টাকা এবং ২৮ শতাংশ ছাড়ের পরেই দাম হয়েছে ২৫,৯৯৯ টাকা। এমনকী, এও বলা হয়েছে যে কিস্তির মাধ্যমেও কিনতে পারেন ওই বালতি। এটি শোনার পর আরও হতবাক হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বিবেক রাজু নামে এক ব্যক্তি তার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এটি শেয়ার করে লেখেন, “এটি আমাজনে পেলাম, আমি জানি না, কি করা উচিত।” এরই মধ্যে অনেকেই বিষয়টিকে আমাজনের ভুল বলে মেনে নিয়েছে। আমাজনের তরফেও বলা হয়েছে, “এই ভুলভ্রান্তির জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা এই দিকে বিশেষ নজর রাখব।”
আরেকজন একটি আশ্চর্যজনক বিষয় তুলে ধরেন, এটি আমাজনের স্টকে মাত্র একটি পড়ে রয়েছে। অন্য একজন ট্যুইটার ইউজার একটি হাস্যকর কমেন্ট করে লেখেন, “কোনও বেআইনি জিনিস পাঠানোর এটি একটি ভালো পদ্ধতি। এটি একটি কোডেড আইটেমও (Coded Item) হতে পারে এবং এর মাধ্যমে অন্য জিনিসও পেয়ে যেতে পারেন।”
এরই মধ্যে দুটি বাথরুম মগ ৯,৯১৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায় আমাজনে। যার আসল দাম ছিল ২২,০৮০ টাকা এবং ৫৫ শতাংশ ছাড়ের পর ৯,৯১৪ টাকা হয়েছে। তবে এমন কাণ্ড আমাজনে নতুন কিছু নয়। এর আগেও অনেক কম দামি জিনিসকে চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।এরপর আর কী কী দেখার বাকি আছে, এই নিয়েই সাধারণ মানুষ চিন্তিত।