Akhaura-Agartala Rail Link: ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমল ২১ ঘণ্টা...
এই সেই 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত'। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (বাঁ দিকে) ও শেখ হাসিনা।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যৌথভাবে তিন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Modi)। বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করেন তাঁরা। প্রকল্প তিনটি হল, আখাউড়া-আগরতলা ক্রস বর্ডার রেল লিঙ্ক, খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট ইউনিট ২। এদিনের অনুষ্ঠানে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, “মাননীয়া আপনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে সাকার করতে ভারত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।” প্রত্যুত্তরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন জোরদার করার বিষয়ে আপনার প্রতিশ্রুতির জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” আগরতলা আখাউড়া ক্রস বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা (PM Modi) ছিল ২০২০ সালে। ১৫ কিমি দীর্ঘ এই প্রকল্পের মধ্যে পাঁচ কিমি রয়েছে ভারতে, বাকিটা রয়েছে বাংলাদেশে। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাত্রার সময় ৩১ ঘণ্টা থেকে কমে দাঁড়াবে ১০ ঘণ্টায়। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও পর্যটন বাড়ানোর পাশাপাশি ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের সময় কমিয়ে আনা।
প্রসঙ্গত, এই রেল সংযোগ প্রকল্পটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র অন্তর্গত। বাংলাদেশের আখাউড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনকে নিশ্চিন্তপুরের আন্তর্জাতিক স্টেশনের মাধ্যমে আগরতলার সঙ্গে যুক্ত করবে এই রেলপথ। যাত্রী ও পণ্য বিনিময় উভয়ের জন্য একটি ডুয়েল গেজ স্টেশন হিসেবে কাজ করবে নিশ্চিন্তপুরের আন্তর্জাতিক স্টেশনটি। এতে বাড়বে বাণিজ্য ও পর্যটন। এদিনের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi) জানান, গত ৯ বছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে তিনগুণ। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগের উদ্বোধনকে তিনি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক দৃঢ় বন্ধনের কথাও মনে করিয়ে দেন মোদি।
আরও পড়ুুন: ৬ সংস্থার শেয়ারে ৫০ কোটি বিনিয়োগ! বাকিবুরের ছবির পরিচালক খাদ্য দফতরের কর্মীই?
প্রসঙ্গত, আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ প্রকল্পটির জন্য ভারত অনুদান দিয়েছে ৩৯২.৫২ কোটি টাকা। খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটির জন্য ভারত সরকার রেয়াতি সুদে ৩৮ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে। আর মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের জন্য ভারত ঋণ দিয়েছে ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার (PM Modi)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।