দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ প্রায় ১২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।
দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ে
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি-জয়পুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। মোট ১,৩৮৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রস্তাবিত এই বিশাল সড়ক প্রকল্পের অন্যতম অংশ দিল্লি-দৌসা-লালসট ২৪৬ কিলোমিটার সড়কের উদ্বোধন করেন। এর ফলে দিল্লি ও মুম্বইয়ের মধ্যে যাতায়াতের সময় অনেকটাই কমে আসবে। এখন ১২ ঘণ্টাতেই এক শহর থেকে অন্য শহরে পৌঁছনো যাবে। মহর্ষি দয়ানন্দের ২০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন তিনি। নতুন এই রাস্তা দিয়ে দিল্লি থেকে জয়পুরে যেতে এখন থেকে লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। আগে লাগত ৫ ঘণ্টা। নতুন রাস্তার ফলে ভ্রমণসময় এক ধাক্কায় দেড় ঘণ্টা কমবে বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ প্রায় ১২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। তবে এই এক্সপ্রেসওয়ের সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, রাস্তাটি সম্পূর্ণ হলে দিল্লি থেকে মুম্বাই যাওয়ার জন্য এখন যে-সময় লাগে তার চেয়ে অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে। আগে সড়ক পথে দিল্লি থেকে মুম্বই যেতে সময় লাগত প্রায় ১ দিনের মতো, ২৪ ঘণ্টা। নতুন রাস্তাটি খুলে গেলে সেটা নেমে আসবে ১২ ঘণ্টায়! তার মানে, এই পথে ১০-১২ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়েটি ছটি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাবে (Narendra Modi)। যথাক্রমে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। এই নতুন এক্সপ্রেসওয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরকেও যুক্ত করবে। যেমন-- কোটা, ইন্দোর, জয়পুর, ভোপাল, ভদোদরা, সুরাট। এ ছাড়াও এটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্টে পৌঁছনো আগের চেয়ে সহজ করে দেবে। যুক্ত করবে ১৩টি বন্দরকে। আসন্ন গ্রিন ফিল্ড এয়ারপোর্ট, যেমন জেওয়ার এয়ারপোর্ট বা নভি মুম্বই এয়ারপোর্টে পৌঁছনোটাও এর ফলে সহজ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: বাবাকে ঠেলা গাড়িতে হাসপাতাল নিয়ে গেল ৬ বছরের একরত্তি, ভাইরাল মধ্যপ্রদেশের ভিডিও
এই এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরির জন্য ৫ টি রাজ্য-দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের মোট ১৫,০০০ হেক্টর জমি নেওয়া হয়েছে। এটিই দেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। মঙ্গলবার দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের সোহনা-দৌসা অংশ সর্বসাধারণের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রথমে ২০১৮ সালে এই প্রজেক্টের জন্য ৯৮,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল (Narendra Modi)। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য মোট ১২ লক্ষ টন স্টিল ব্যবহারের কথা ছিল। হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে যা স্টিল ব্যবহৃত হয়েছিল তার ৫০ গুণ স্টিল ব্যবহার হচ্ছে এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরিতে।