One Nation - One Police Uniform: নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,পুলিশের জন্য এক জাতি এক ইউনিফর্ম হওয়া প্রয়োজন...
সারা দেশের পুলিশের জন্য নয়া নিদান প্রধানমন্ত্রী মোদির
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হরিয়ানার সুরজকুন্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সবকটি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়ে এক চিন্তন শিবির আয়োজন করেছেন। দু দিনের এই চিন্তন শিবিরের অন্তিম দিনে অনুষ্ঠানটিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,পুলিশের জন্য এক দেশ এক ইউনিফর্ম হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সারা দেশের পুলিশকে এক ও অভিন্ন বোঝাতে একই পোশাক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে তিনি এই সিদ্ধান্ত রাজ্যগুলোর ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ মানুষকে বিপদ থেকে রক্ষা করে। দেশের যে কোনও জায়গার পুলিশকে যাতে সাধারণ মানুষ একবারে চিহ্নিত করতে পারে সেই কারণেই পুলিশের জন্য সারা দেশে এক ইউনিফর্ম হওয়া প্রয়োজন। রাজ্য বোঝায় জন্য কিছু নম্বর বা প্রতীক ইউনিফর্মে থাকতে পারে। তবে তিনি আশাবাদী যে পুলিশের এই ইউনিফর্মটি আগামী ৫,১০ বা ৫০ বছরের মধ্যেই পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি আর কোনও একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অপরাধ এখন আন্তঃরাজ্য এবং আন্তর্জাতিকে পরিণত হচ্ছে। প্রযুক্তির সঙ্গে অপরাধীরা এখন সীমানা ছাড়িয়ে অপরাধ করার ক্ষমতা রাখছে। আর এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রের সংস্থাগুলির মধ্যে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একে অপরকে সহযোগিতা করা উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে অপরাধীর থেকে দশ ধাপ এগিয়ে থাকতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে।
৪৫ মিনিটের ভাষণে তিনি একাধিক বিষয় তিনি তুলে ধরেন। কখনও তিনি মাওবাদী প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তো কখনও তিনি দেশের যুব সমাজ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, মাওবাদীরা এখন বন্দুকের বদলে হাতে তুলে নিচ্ছেন কলম। যাতে আরও বেশি করে মাওবাদীরা মূলস্রোতে ফিরতে পারেন, সেই দিকে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি তিনি দেশের যুব সমাজ নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশের যুব সমাজকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। যে কোনও মূল্যে তা রোধ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, সূরজকুণ্ডে এই চিন্তন শিবিরে ৮টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং ১৬টি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা একত্রিত হয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ঘোষিত ভিশন ২০৪৭ এবং পঞ্চ প্রাণ বাস্তবায়নের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার লক্ষ্যে, এই চিন্তন শিবিরটি গৃহমন্ত্রীর পৌরিহিত্যে এর আয়োজন করা হয়েছিল।এই শিবিরে অনুপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।