বানভাসি দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ড! আগুন কনট প্লেসের একটি বহুতলে
প্রধানমন্ত্রী মোদি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির বন্যা (Flood In Delhi) পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এনিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত কেন্দ্রের মোদি সরকার। প্রসঙ্গত, ফ্রান্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি সফর শেষে শনিবার রাতেই দিল্লি ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী ফ্রান্স থেকেই ফোনে খবর নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। আবার এদিন দেশে ফিরেই দিল্লির উপ রাজ্যপাল তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাকে ডেকে পাঠান মোদি। রাজধানীর বন্যা (Flood In Delhi) পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দুজনের মধ্যে। দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি কেমন, দুর্গতদের উদ্ধারকাজ এবং দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের তরফে উদ্যোগ, এসবই খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বিদেশ সফর শেষে ফিরে কালবিলম্ব করেননি মোদি। তড়িঘড়ি সাক্সেনাকে তলব করেন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে একটানা প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লির জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করেছে আগেই। বন্যা পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে লালকেল্লার দেওয়ালেও যমুনার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। গোটা রাজধানী যেন নেমে এসেছে ত্রাণশিবিরে। দুর্যোগ কবলিত অনেককে উদ্ধার করে সেখানে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে বানভাসি দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর মিলেছে। রাজধানীর কনট প্লেসের একটি বহুতলে শনিবার আগুন লাগে। হতাহতের কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
একনাগাড়ে বৃষ্টি চলছেই দিল্লিতে। থামার কোনও লক্ষণই নেই। সূত্রের খবর, একমাত্র বৃষ্টিই দিল্লি বন্যার (Flood In Delhi) জন্য দায়ী নয়। হরিয়ানার হাথনি থেকে রেকর্ড পরিমাণে জল ছাড়ার ফলেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই কারণেই বিপদসীমা অতিক্রম করেছে যমুনা। রবিবার সকালেও দেখা গিয়েছে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে জল জমেছে। রাজঘাট সুপ্রিম কোর্ট চত্বরেও পৌঁছেছে যমুনার জল। প্রশাসন বলছে, উদ্ধার কর্মীরা সারারাত ধরে দিল্লিতে জল সরানোর কাজ করেই চলেছে। রবিবার সকালেও বিপদসীমার ওপরেই বইছে যমুনা। জানা গিয়েছে, জলস্তর এখন ২০৬.১৪ মিটার। প্রসঙ্গত, বিগত সপ্তাহ থেকেই যমুনা বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। শেষবারের মতো এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। তখন যমুনার জলস্তর হয়েছিল ২০৭.৪৯ মিটার। নিম্ন অঞ্চলের বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। সারা রাজধানী জুড়েই খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। বন্যা দুর্গতদের খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে সরকার।
বন্যায় (Flood In Delhi) গাড়িগুলি যেন খেলনার মতো ভেসে যাচ্ছে এদিক সেদিক। চলাচলের অযোগ্য হয়েছে কম বেশি সব রাস্তাই। যমুনার জলে ভেসে গিয়েছে দিল্লির একাধিক এলাকা। প্রতিনিয়ত ফুঁসছে যমুনা। রেহাই মিলবে কবে? এই প্রশ্নে কোনও সুখবর শোনাতে পারল না মৌসম ভবন। উপরন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে হাওয়া অফিস বলছে, দিল্লিতে (Flood In Delhi) আগামী পাঁচদিন বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণই নেই। হাওয়া অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আগামী পাঁচদিন দিল্লি, হরিয়ানা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিকে হতে পারে বৃষ্টিপাত। ১৭ এবং ১৮ তারিখ সামান্য বাড়তে পারে বৃষ্টি। তবে দিল্লির পরিস্থিতি স্থানীয় বৃষ্টিপাতের জন্য হয়নি। যমুনা নদী ফুঁসে ওঠার কারণে হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, হরিয়ানা সমেত হিমাচলে জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা পরিস্থিতি বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।