সম্প্রতি এক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরীর স্বামীকে আটক করা হয়েছিল।
কর্নাটক হাইকোর্ট
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ বছরের কম বয়সে বিয়ে পকসো আইন (POCSO Act) বিরোধী। শরিয়ৎ আইন পকসো আইনের থেকে বড় হতে পারে না। এই বিয়ে বেআইনি। এমনই নিদান দিল কর্নাটক হাইকোর্ট। ১৫ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে করার অনুমতি দেয় ইসলামিক আইন। সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট এই ইসলামিক রীতির পক্ষেই রায় দিয়েছে। কিন্তু এই রায় খারিজ করে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট।
আদালতের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, পকসো (POCSO) আইন ওই ইসলামিক আইনের ঊর্ধ্বে। তাই ১৫ বছরের কোনও কিশোরীকে বিয়ে করা ও তাকে গর্ভবতী করে দেওয়া ভারতীয় আইন-বিরুদ্ধ এবং ধর্ষনের সমান। এক মামলা প্রসঙ্গে এই রায় দেয় আদালত। ওই অভিযুক্তকে এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে ওই মুসলিম কিশোরীর বিয়েকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে। বিচারপতি রাজেন্দ্র বাদামিকরের বেঞ্চে ছিল সেই মামলার শুনানি হয়।
সম্প্রতি এক অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরীর স্বামীকে আটক করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহ নিরোধক আইনের ৯ ও ১০ ধারায় মামলা হয়। এছাড়া পকসো আইনের ৪ ও ৬ ধারায় মামলা রুজূ হয় ওই যুবকের বিরুদ্ধে। অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীকে বিয়ে করা ও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: "প্রকল্পের নামে প্রহসন", দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর
চলতি বছরের জুন মাসে প্রথম ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ায় এলাকার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় বয়স ছিল ১৭ বছর। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তরফে থানায় বিষয়টি জানানো হয়। কিশোরীর স্বামীর বিরুদ্ধে কে আর পুরম থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার হন যুবক।
এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। কর্নাটক হাইকোর্টে তাঁর আইনজীবী জানান, বিয়ের সময় ১৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছিল কিশোরীর। ইসলামিক আইনে যা বৈধ। তাই এই বিয়েকে অবৈধ বলা যায় না। কিন্তু আদালত সেই দাবি খারিজ করে দেয়। বিচারপতি উল্লেখ করেন, পকসো আইন এক বিশেষ আইন। এটি ইসলামিক আইনের ঊর্ধ্বে। পকসো আইন অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের ন্যুনতম বয়স ১৮।