কী লেখা রয়েছে উদ্ধার হওয়া নথিতে
অতীতে পিএফআই এর একটি বিক্ষোভের ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) কে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াডের দাবি, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছিল পিএফআই। তাদের এই উদ্দেশ্য সফল করতে বিদেশ থেকে অস্ত্র আমদানি করারও পরিকল্পনা রেখেছিল তারা। এটিএস বলছে, এজন্য বিশ্বের কট্টর মুসলিম সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করে দিয়েছিল পিএফআই।
মহারাষ্ট্রের স্থানীয় কোর্টে এটিএস যে চার্জশিট জমা দিয়েছে সেখানেই উল্লেখ রয়েছে পিএফআই এর উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনার। গত বছরে মহারাষ্ট্রের এটিএস গ্রেফতার করে পাঁচজন পিএফআই (PFI) কর্মীকে তাদের কাছ থেকেই জেরা করে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর এটিএস সূত্রে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করা হয় ৫ পিএফআই (PFI) কর্মীকে। তারা হল, মজহর খান, সাদিক সেখ, মহম্মদ ইকবাল খান, মোমিন মিস্ত্রি এবং আসিফ হুসেন খান। এদের বিরুদ্ধে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করা, দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ষড়যন্ত্র করার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে এটিএস।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেড শুরু করা হয় পিএফআই-র দফতরগুলিতে। ২ ফেব্রুয়ারি এটিএস চার্জশিট জমা দেয়। সেখানে তারা বলে, পিএফআই-র দফতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নথি, ওই নথিগুলিতে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ষড়যন্ত্রের বেশ কিছু প্রমান পাওয়া গেছে। তার মধ্যে একটি ফাইল উদ্ধার হয়েছে যেখানে শিরোনাম রয়েছে, "২০৪৭ এর মধ্যে ভারত হবে মুসলিম দেশ"। ওই নথিতে আরও লেখা রয়েছে, " মুসলিম শাসকদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা অনৈতিকভাবে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমরা সেই ভারতের কল্পনা করছি, যার রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে মুসলিম সমাজের হাতে। ওই লক্ষ্য অর্জন করতে মুসলিম সমাজকে প্রথমে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে"। রাস্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সম্পর্কে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র হিন্দুদের স্বার্থেই কাজ করে ওই সংগঠন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
Tags: