যেসব মায়েরা কম সন্তান ধারণ করেন, তাঁরা সুশিক্ষিত...
ভারতে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম (Muslims) জনসংখ্যা। ২০১১ সালের জনগণনা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (Religious Group) চেয়ে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সেই তুলনায় জন্মহার কম হিন্দু (Hindus), শিখ (Sikhs), জৈন (Jains) এবং বৌদ্ধদের (Buddhists)। সম্প্রতি এনিয়ে সমীক্ষা করেন জেকে বাজাজ নামে এক ব্যক্তি। 'সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ'-এর পক্ষে সমীক্ষাটি করেন তিনি। তাতেই দেখা যায়, ভারতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে ধর্মীয় মানচিত্র। মুসলিমদের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি কমছে শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্মহার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাজাজ জানান, এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক পরিণতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত
সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজাজ দেখিয়েছেন, মুসলিম এবং ভারতের বাকি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক বিস্তর। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ০.২৪ শতাংশ। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেটা বেড়ে হয়েছে ০.৮০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে ভারতে ৩.৪৭ কোটি মুসলিম ছিলেন। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১১ কোটিতে। অর্থাৎ, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬ গুণ। তুলনায় অন্যান্য ধর্ম বেড়েছে ৩.২ গুণ। যা থেকে প্রমাণ হয় ভারতে ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা ক্রমশ বাড়বে। তিনি জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত খানিকটা কমলেও পরের দশকে ফের বেড়েছে এক লপ্তে অনেকটাই।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৮৪.২১ শতাংশ। পরের দশকে সেটাই কমে হয়েছে ৮৩.৪৮ শতাংশ। অথচ মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সমীক্ষার ফলেই স্পষ্ট, ভবিষ্যতে এর প্রভাব হবে মারাত্মক। সমীক্ষায় এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব মায়েরা কম সন্তান ধারণ করেন, তাঁরা সুশিক্ষিত। অন্যদিকে, যাঁরা বেশিবার গর্ভধারণ করেন, তাঁদের মধ্যে শিক্ষার হার কম। তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও নন। সীমান্ত এলাকায় যে নিরন্তর ধর্মান্তকরণ চলছে, তারও প্রমাণ মিলেছে ওই সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় তফশিলি উপজাতির মানুষ দ্রুত খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১৯ শতাংশের কম থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।