জাতীয় অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রোভার প্রজ্ঞান
প্রতীকী ছবি
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪০ দিনের যাত্রার পরে বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদের দেশে অবতরণ করেছে ভারতের বিক্রম (Chandrayaan 3)। অবতরণের পরেই ছবি পাঠাতে শুরু করে বিক্রম। বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে আসে রোভার প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। চাঁদের মাটিতে ভারতীয় সংস্কৃতির ছাপ, ভারতীয়ত্বের প্রতীক অশোক স্তম্ভ আঁকছে প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। ভারতবর্ষের অস্মিতার প্রতীক হয়ে উঠেছে প্রজ্ঞান।
চাঁদের মাটিতে যতই এগিয়ে চলেছে ততই এঁকে দিচ্ছে অশোক স্তম্ভর ছাপ এবং ইসরোর প্রতীক। রোভার প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) মোট ছ'টি চাকা রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে রয়েছে অশোক স্তম্ভের চিহ্ন, অন্যটিতে রয়েছে ইসরোর লোগো। তবে শুধুমাত্র অশোকস্তম্ভের প্রতীক খোদাই করে আসা নয়, চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকাও পুঁতবে প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3)। অবতরণের পরপরেই ধুলো ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয় চন্দ্রযানকে। তাই সতর্ক বিজ্ঞানীরা কিছুটা সময় নিয়েই বের করেন রোভার প্রজ্ঞানকে।
চাঁদের মাটিতে (Chandrayaan 3) নানা রকমের তথ্য সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান। সংগৃহীত তথ্য পাঠাবে ইসরোর সদর দফতরে। সেখানকার বায়ুমণ্ডলের গঠন কেমন, মাটির উপাদান কী কী, কোন কোন রাসায়নিক মিশে রয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে-এসবই জানাবে আমাদের। আজ সকালে এক সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে ইসরো জানিয়েছে, প্রজ্ঞানের মুন ওয়ার্ক শুরু হয়ে গেছে। প্রজ্ঞান প্রতি এক সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার এগোতে পারে। ইসরোর সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ১৪ দিন প্রজ্ঞান (Chandrayaan 3) চাঁদের দক্ষিণ মেরুর আশেপাশে ঘুরে কাজ করবে। এই ১৪ দিন টানা দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো থাকবে এবং সূর্যের আলো থেকেই শক্তি সংগ্রহ করবে প্রজ্ঞান। এরপর দক্ষিণ মেরুতে সূর্য যখন আর থাকবে না, তখন প্রজ্ঞানের শক্তি অবশিষ্ট থাকবে না। প্রজ্ঞানের (Chandrayaan 3) সঙ্গে জোড়া রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। যেগুলি প্রতি মুহূর্তের ছবি পাঠাচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।