লালকেল্লা হামলায় দোষীর প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
লালকেল্লায় হামলার মূল চক্রী আরিফ। (ফাইল চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ সালে দিল্লির লালকেল্লায় হামলার (Red Fort Attack Case) ঘটনায় দোষী পাক জঙ্গি মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাকের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মহম্মদ আরিফের দেশে কিংবা বেঁচে ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল। দিন ধার্য হয়ে গেলে ফাঁসি কাঠে ঝুলতে হবে লালকেল্লার হামলায় দোষী সাব্যস্ত মূল অপরাধীকে।
২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টা নাগাদ লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা লালকেল্লার পাহারায় থাকা বাহিনীর ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এই অতর্কিত (Red Fort Attack Case) হামলায় রাজপুতানা রাইফেলসের দুই জওয়ান রাইফলম্যান উমাশঙ্কর এবং নায়েক অশোক কুমার সহ একজন অসামরিক নিরাপত্তারক্ষী আবদুল্লা ঠাকুর নিহত হন। এই ঘটনার চারদিন পর আরিফকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা শুরু হয়। ২০০৫ সালে নিম্ন আদালত আরিফকে ফাঁসির সাজা দেয়। দিল্লি হাইকোর্টও একই সাজা বাহাল রেখেছিল। মহম্মদ আরিফ ওরফে আশফাককে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে মামলা পৌঁছয় দেশে সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর লস্করের সদস্য পাকিস্তানের বাসিন্দা মহম্মদ আরিফের মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করে ফাঁসির সাজা বাহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় আরিফ। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়ায় আরিফের ফাঁসির কাঠে ঝোলা কার্যত নিশ্চিত হল এদিন।
এই মামলায় আরিফের সঙ্গী’ দাবি করে ২০১৮ সালে বিলাল আহমেদ কাওয়া নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড বা ATS) ও দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানায়, বিলালের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার যোগাযোগের কোনও প্রমাণ মেলেনি।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি
অন্যদিকে, ফাঁসির সাজা রদ করার আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আরিফের তরফে (Red Fort Attack Case) যে ‘রিভিউ পিটিশন’ জমা দেওয়া হয়েছিল তা ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল যে, আরিফের বিরুদ্ধে হামলায় সরাসরি অংশ নেওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে আদালতের হাতে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।