যশবন্তের চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী...
দ্রৌপদী মুর্মু।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। বলা যেতে পারে, এই লড়াইয়ে দ্রৌপদীর জয় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কিছুক্ষণ আগেই, প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। আর তাতেই যশবন্তের চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দ্রৌপদী মুর্মুকে ৫৪০ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ৩,৭৮,০০০। যশবন্ত সিনহাকে ২০৮ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। যশবন্ত সিনহা প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ১,৪৫,৬০০। ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ফলে বলা যেতেই পারে, সম্ভবত বিপুল সমর্থন নিয়েই দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় কার্যত নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই পদে বসবেন তিনি।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর
ওড়িশার অতি সাধারণ ঘর থেকে আসা একটি আদিবাসী পরিবারের মেয়ে তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা ও কষ্টের শিকার হয়েছেন দ্রৌপদী। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী, দুই ছেলে, মা ও ভাই। ২০০৯ সালে, রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে দ্রৌপদী মুর্মুর এক ছেলের। দ্রৌপদীর স্বামী শ্যাম চরাম মুর্মু ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২০১২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় নিজের দ্বিতীয় পুত্রকেও হারান তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করেন।
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একটি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করার আগে দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার রায়রংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোনও আদিবাসী মহিলা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হননি। যদিও কেআর নারায়ণন ও রামনাথ কোবিন্দের রূপে দেশ পেয়েছিল ২ জন দলিত রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ঘরের মেয়ে হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি, উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর গাঁয়ে