দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, জরুরি অবস্থার সময় আমি নিজেও জেলে ছিলাম। যাঁরা সেদিন দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিলেন, তাঁদের মুখে অন্তত গণতন্ত্র হত্যার কথা মানায় না
পানিপথে চলছে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি বৈঠক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে, লণ্ডনে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে একহাত নিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবালে। পানিপথে শুরু হওয়া সঙ্ঘের সর্বভারতীয় প্রতিনিধি বৈঠকের তৃতীয় দিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সঙ্ঘ নেতা বলেন, রাহুল গান্ধীকে আরও দায়িত্বের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দত্তাত্রেয় হোসাবালে বলেন, রাহুল গান্ধী একজন রাজনীতিবিদ। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক এজেণ্ডা রয়েছে, তবে দেশ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করার সময় তাঁর আরও দায়িত্বের সঙ্গে কথা বলা উচিত। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই রাহুল গান্ধী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জজ বিজনেস স্কুলে তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন, দেশে গণতন্ত্র আক্রান্ত।
এদিন গান্ধী নেহেরু পরিবারকেও একহাত নেন এই সঙ্ঘ নেতা। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কংগ্রেসের ক্ষমতাশীল গান্ধী পরিবারের অনৈতিক পদক্ষেপগুলিকেও এপ্রসঙ্গে টানেন তিনি। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর পারিবারিক পূর্বসূরীরা সঙ্ঘের (RSS) বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ সব সত্যই জানেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেসময় বিরোধী সমস্ত নেতাকেই গ্রেফতার করা হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, জরুরি অবস্থার সময় আমি নিজেও জেলে ছিলাম। যাঁরা সেদিন দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিলেন, তাঁদের মুখে অন্তত গণতন্ত্র হত্যার কথা মানায় না। এই কৃতকর্মের জন্য রাহুল গান্ধী বা তাঁর পূর্বসূরীরা কখনও ক্ষমাও চাননি বলে উল্লেখ করেন এই সঙ্ঘ নেতা। তাঁর আরও সংযোজন, সারা দেশেই নির্বাচন হচ্ছে, তাহলে রাহুল গান্ধী কীভাবে বলতে পারেন গণতন্ত্র আক্রান্ত? এহেন ব্যক্তিদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় কিনা সে সিদ্ধান্ত দেশের মানুষকেই নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
Tags: