পুণে পোর্শে মামলায় গ্রেফতার দুই চিকিৎসক
অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুণের পোর্শে কাণ্ডে (Pune Porshe Case) দুই সিনিয়র ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিতে তাঁরা রক্তের নমুনা বদল করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সরকারি হাসপাতাল সাসুন জেনারেল হাসপাতালে দুই বর্ষীয়ান চিকিৎসক এই কাজ করেছেন বলে পুলিশের দাবি। যে আলালের দুলাল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মদের নেশায় চুর হয়ে বেপরোয়া গতিতে বিলাসবহুল পৌঁছে গাড়ির ধাক্কায় ২ যুবক-যুবতীর প্রাণ কেড়ে নেয়। অভিযুক্তের রক্তের নমুনা বদল করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃত চিকিৎসকরা হলেন ডক্টর অজয় তাওড়ে এবং ডক্টর শ্রীহরি হারনোল। অজয় বাবু হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান।
১৯ মে পুণেতে পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় (Pune Porshe Case) দু'জনের মৃত্যু হয়েছিল। অভিযোগ, গাড়িটির চালকের আসনে ছিল ১৭ বছরের ওই নাবালক। মদ্যপ অবস্থায় পার্টি থেকে ফিরছিল সে। ওইসময় দ্রুতগতিতে পোর্শে গাড়ি দিয়ে বাইকে থাকা যুগলকে ধাক্কা মারে অভিযুক্ত। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পেশায় আইটি কর্মী আনিস দুদিয়া ও তাঁর বান্ধবী অশ্বিনী কস্তারের। পরদিন ওই অভিযুক্ত তরুণকে সাসুন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বেলা ১১ টার সময় তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রক্তের নমুনা যে অনেক দেরিতে সংগ্রহ করা হয়েছিল তার স্বীকার করেছেন পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার। তিনি বলেন, “পুলিশ জানতে পেরেছে শাসন হাসপাতালে ওই নাবালকের রক্তের নমুনার পরীক্ষার রিপোর্ট বদলে দেওয়া হয়েছিল। যাতে রক্তের অ্যালকোহলের উপস্থিতি না পাওয়া যায়। ১৯ মে বিকেলের পর আরও একবার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেটা ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।” জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাবা বিশাল অগ্রওয়াল ধনকুবের। তিনি পেশায় রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক। দুর্ঘটনার দুদিন পর ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে পুলিশ ওই নাবালকের বিরুদ্ধে গাফিলতি, অনিচ্ছাকৃত খুন এবং মোটর ভেহিকেলস আইন লঙ্ঘন সহ মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর অপরাধ এফআইআরে এই যুক্ত করে।
আরও জানা গিয়েছে, প্রথমে জুভেনাইল আদালত ওই অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে দেয়। কিন্তু বিতর্কের ঝড় ওঠায় পুনরায় ২২ মে জুভেনাইল আদালত তাঁকে পর্যবেক্ষণ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ইতিমধ্যেই ওই তরুনের বাবা এবং ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাবা জেল হেফাজত এবং ঠাকুরদা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ওই পরিবারের সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।