বর্তমানে পাঞ্জাবের ঋণ বাকি রয়েছে ২.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা...
পাঞ্জাব বিধানসভা
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের (Punjab) অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতির দিকে এগোচ্ছে। শনিবার পাঞ্জাব বিধানসভায় (Punjab State Assembly) রাজ্যের আর্থিক বিষয়ক শ্বেতপত্র (White Paper) পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, বর্তমানে আর্থিক মন্দা এবং ঋণের ফাঁদে রয়েছে পাঞ্জাব। অর্থমন্ত্রী হরপাল সিং চিমা (Harpal Singh Cheema) এদিন এটি পেশ করেন ও আর্থিক বিশৃঙ্খলার জন্য আগের সরকারকে দায়ী করেছেন তিনি।
পঞ্জাবের বাজেট পেশের সময় রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, "পাঞ্জাব আর্থিক সংকটের মুখে। সেখানে ঋণের পরিমাণও অনেক বেড়ে গিয়েছে। আগের সরকারগুলি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টে যথেচ্ছ ব্যয়, খয়রাতি এবং অযোগ্য ভর্তুকি করার ফলে রাজস্বে বিপুল ঘাটতি হয়। বর্তমানে পাঞ্জাবের ঋণ বাকি রয়েছে ২.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা, যা রাজ্যের জিডিপির ৪৫.৮৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশের পাঁচটি রাজ্যে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ, বিক্ষিপ্ত অশান্তি কয়েকটি জায়গায়
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, অর্থ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি করা হবে আগের কংগ্রেস শাসিত সরকার একথা বললেও রাজ্য ঋণ পরিশোধ করেনি। তারপর সরকার বদল হলে, ২৪,৩৫১.২৯ কোটি টাকার দায়ভার পাঞ্জাবের নতুন সরকারকে হস্তান্তর করে দেয়, যেটি আগামী বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
গত পাঁচ বছরে, রাজ্যের ঋণ ৪৪.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা বছরে ৭.৬০ শতাংশের হারে বেড়েছে। শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যের বকেয়া ঋণ ১৯৮০-৮১ সালে ১০০৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১১-১২ সালে ৮৩,০৯৯ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ সালে আরও বেড়ে ২,৬৩,২৬৫ কোটি টাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?
যে পাঞ্জাব দীর্ঘদিন ধরে সারা দেশে মাথাপিছু আয়ে (Per Capita Income) এক নম্বরে ছিল, এটি এখন অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে রয়েছে এবং শীর্ষ থেকে ১১ তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে। পাঞ্জাবকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও আর্থিক পরিস্থিতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে, সরাসরি রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যবস্থা সহ ব্যয়ের প্রতিশ্রুতিগুলিকে গুরুত্ব সহকারে পুনর্বিবেচনা করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শ্বেতপত্রে।