কেন কংগ্রেস বিচারবিভাগের ওপর এই ধরনের অবাঞ্ছিত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে...
ফাইল ছবি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি (Modi) পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল গুজরাটের সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাহুল। তাঁকে জামিন দিল ওই আদালত। আদালতের এই রায়ের পরে পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সেই পূর্ণেশকেও এদিন আদালত তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ১০ এপ্রিলের মধ্যে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, এদিন রাহুলের (Rahul Gandhi) পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী আরএস চিমা। আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাহুল, তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্য রাজস্থান, ছত্তীসগঢ় ও হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা। রাহুলের আদালতে উপস্থিত থাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ট্যুইট-বার্তায় লেখেন, একজন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য নিজে যান না, যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী দলবল নিয়ে ওখানে নাটক করতে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী বলেন, কেন কংগ্রেস বিচারবিভাগের ওপর এই ধরনের অবাঞ্ছিত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করছে? আইনি বিষয়গুলি মোকাবিলা করার পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে। কিন্তু এমনভাবে কেন? তিনি বলেন, কংগ্রেসের কাছে দেশের চেয়েও একটি পরিবার বড়।
আরও পড়ুুন: ‘‘ন্যায় বিচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’’! সিবিআইকে দরাজ সার্টিফিকেট প্রধানমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। এই মন্তব্যের দায়ে তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেয় সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তার জেরে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুরাটেরই দায়রা আদালতে আবেদন জানান রাহুল। বিচারক তা গ্রহণ করে জামিন বহাল রাখার নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, দেশের আইনসভার কোনও সদস্য দুই বা ততোধিক বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তাঁর সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তকে আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।