Opposition in India: কিছু বৈদেশিক সংস্থার হাতের পুতুল হয়ে কাজ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী! কেন?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের শাসনব্যবস্থাকে অস্থির করে তুলে, ভারতের শাসনক্ষমতা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করছে এমন কিছু বৈদেশিক সংস্থার হাতের পুতুল হয়ে কাজ করতে চাইছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ভারতে গণতন্ত্র বা তার অভাব নিয়ে বিশ্বমঞ্চে উদ্বেগ তৈরি করে এই ধরনের সংস্থাগুলি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করতে চাইছে। আর তাতে মদত দিচ্ছে দেশের বিরোধী দলগুলি (Opposition in India)। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা তারই প্রমাণ।
যে কোনও দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে জনমত গঠনের জন্য কয়েকটি গোষ্ঠী একযোগে কাজ করে। সারা বিশ্বে ভারতের অগ্রগতি রুখতে পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থা, বড় বড় ফাউন্ডেশন, বহুজাতিক সংস্থা, সিভিল সোসাইটি, রাজনৈতিক কর্মী, মানবাধিকার সংস্থা, গণতন্ত্র রেটিং সংস্থা, মিডিয়া সবাই মিলে একযোগে কাজ করে। এরা প্রাচ্যের আধিপত্য মানতে নারাজ। এই সংস্থাগুলি প্রায়ই একে অপরের স্বার্থ রক্ষা করে এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, উদারনীতিবাদ এবং গ্লোবালাইজেশনের প্রধান লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভারতে, বিরোধী দল প্রায়শই সরকারের সাথে দোষারোপের খেলা খেলে। এটাকেই হাতিয়ার করে ওই সংস্থাগুলি। দেশীয় শক্তির দ্বারাই দেশ-বিরোধী প্রচার চালায়।
উদাহরণস্বরূপ, বিরোধী দল (Opposition in India) নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকারকে চিনা সেনাবাহিনীর ভারতীয় জমিতে অবকাঠামো নির্মাণের উপগ্রহ চিত্রগুলি উপেক্ষা করার কথা বলেছিল। কিন্তু বাস্তবে এই চিত্রগুলি ব্ল্যাকস্কাই দ্বারা প্রকাশিত। যা স্পেসফ্লাইট ইন্ডাস্ট্রিজের একটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান এবং মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত। আমেরিকার চির শত্রু চিন। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে চিনের সমস্যা রয়েছে। তাই এটাকে হাতিয়ার করা হয়েছিল।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা সম্পর্কিত রিপোর্ট নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করার বিষয়ে বিরোধীরা বরাবর একজোট। কিন্তু এই রিপোর্ট ইউএসসিআইআরএফ-এর দেওয়া। যা মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ দ্বারা প্রকাশিত হয়, এটি ভারতীয় রাজনীতিতে একটি বিশেষ সংবেদনশীল বিষয়। ভারতীয় রাজনীতিবিদরা প্রায়ই এটি ব্যবহার করেন।
নানা বিষয়ে সারা বিশ্বে সূচক তুলে ধরে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা। তারা তাদের মতো করে গবেষণা চালিয়ে এই সূচক তুলে ধরে। এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। ক্ষুধা সূচক, প্রেস স্বাধীনতা সূচক এবং গণতন্ত্র সূচকে ভারতের ক্রমহ্রাসমান অবস্থানের কারণে বিরোধীরা (Opposition in India) বারবার সংসদ উত্ত্বাল করেন। কিন্তু এই সংস্থাগুলি মার্কিন ধনকুবের জর্জ সোরেসের প্রভাবিত। অক্সফামের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুঁজিবাদ এবং আয় বৈষম্য বাড়ানোর জন্য সরকারকে সমালোচনা করে। কিন্তু অক্সফাম সংস্থাটি মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ এবং ধনকুবের জর্জ সোরোস দ্বারা অর্থায়িত।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগে বিশেষ বৈঠক, অর্থনীতিবিদদের থেকে পরামর্শ নিলেন মোদি
বিরোধী দল (Opposition in India), বিশেষ করে রাহুল গান্ধী, গৌতম আদানির উপর একটি রিপোর্টও তুলে ধরেছেন, যা মার্কিন ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ এজেন্সি দ্বারা মার্ক কিংডন নামক মার্কিন হেজ ফান্ড বিনিয়োগকারীর অনুরোধে প্রকাশিত হয়েছিল। এই সংযোগটি এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে, তবে যা উদ্বেগজনক তা হল এখনও এরা নানা মিথ্যা গল্প রচনা করে চলেছে। এর থেকেই বোঝা যায় কেন কিছুদিন আগে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এই দেশগুলি ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু রাহুল বা বিরোধী জোট এটা বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে বর্ণনা প্রচারের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছেন।
মার্কিন মানাবাধিকার কর্মী সুনিতা বিশ্বনাথের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর বৈঠক তার প্রমাণ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে ওই মানবাধিকার কর্মী জড়িত বলে অভিযোগ। রাহুলের (Rahul Gandhi) গত মার্কিন সফরের সময় এই বৈঠকটি হয় বলে দাবি। জর্জ সোরেসের ঘনিষ্ঠ এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত সুনিতার সঙ্গে দেশের বাইরে সাক্ষাত রাহুল গান্ধীর মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই ধরনের নানা ঘটনা থেকে মনে হয়, যদি বিরোধী দল সরকারের কার্যকলাপের সাথে একমত না হয়, তবে কেন তারা তাদের মূল এবং প্রকৃত অভিযোগ বা গঠনমূলক সমালোচনা উপস্থাপন করছে না? কেন তারা আমেরিকা দ্বারা পরিচালিত সংস্থাগুলির মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে, যা ভারতীয় বিরোধী দলকে কেবল শাসন ব্যবস্থা পতনের একটা যন্ত্র হিসেবে রেখে দিচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন ভারতে বিরোধী দলগুলি (Opposition in India) অন্যের হাতের পুতুলের মতো আচরণ করছে?
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।