img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Sushil Modi: '২০০০ টাকার নোট কালো টাকার সমান', বাতিল করার পরামর্শ সুশীল মোদির

সুশীল মোদির বক্তব্য, যেহেতু ভারত এখন ডিজিটাল লেনদেনের হাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই এখানে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন কম।

img

সুশীল মোদি

  2022-12-13 19:34:25

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০০ টাকার নোট সন্ত্রাসবাদ এবং মাদকপাচারের মতো ঘৃণ্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় এমনটাই বললেন বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদি (Sushil Modi)। তিন বছর আগেই ২০০০ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বিজেপি সাংসদের দাবি , ২০০০ হাজার টাকার নোট জমিয়ে ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদে মদত ও মাদকপাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই টাকা কালো টাকার সমান।

আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর পড়ুয়া-নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি, অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর   

কেন এমন মন্তব্য করলেন সাংসদ?

রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ (Sushil Modi) বলেন, "২০১৬ সালে বাতিল হওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের বিকল্প হিসেবে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে এসেছিল আরবিআই। কিন্তু বেশ কিছু কারণে গত তিন বছর ধরে এই নোটের মুদ্রণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ২ হাজার টাকার নোটের কালোবাজারি বাড়ছে।" তিনি আরও বলেন, "আমজনতার কষ্টের উপার্জনের টাকা যাতে পুরোপুরি রূপান্তরিত করা যেতে পারে, সে জন্য তাঁদের আরও সময় দেওয়া দরকার। অন্য দেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, "বহু আধুনিক দেশেই ছোট অঙ্কের নোট চালু রয়েছে। আমেরিকায় যেমন সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ডলার, চিনের সর্বোচ্চ অঙ্কের নোট ১০০ ইউয়ান, কানাডায় ১০০ ক্যাড, ইউরোর ক্ষেত্রে ২০০ ইউরো। মাদক পাচার, আর্থিক নয়ছয়, সন্ত্রাসবাদে মদত এবং করফাঁকির মতো বেআইনি কার্যকলাপ আটকাতে ইইউ ২০১৮ সালে ৫০০ ইউরোর নোট বাতিল করে। ২০১০ সালে রাস্তায় হেঁটে ১০ হাজার সিঙ্গাপুর ডলারের নোট বাতিল করে সিঙ্গাপুর।"

সুশীল মোদির (Sushil Modi) বক্তব্য, যেহেতু ভারত এখন ডিজিটাল লেনদেনের হাব হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাই এখানে ২০০০ টাকার নোটের প্রয়োজন কম। ২০১৬ সালে কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে গোটা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধী শিবির থেকে অর্থনীতিবিদ, নানা মহলের বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে সেই পদক্ষেপ। কিন্তু স্বয়ং দলীয় সাংসদের বক্তব্যে ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে সংশয় তৈরি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি।   

কোনও আগাম সূচনা ছাড়াই ২০১৬-র ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার পুরনো নোট বন্ধ হচ্ছে। এরপর ৫০০ ও ১০০০ টাকা দিয়ে কোনও লেনদেন করা যাবে না, ঘোষণা করেন তিনি। সঙ্গে জানান, বদলে বাজারে শীঘ্রই আসতে চলেছে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নতুন নোট। তাঁর যুক্তি ছিল, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জালনোট রোধে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু যাঁদের কাছে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাঁরা কী করবেন? উপায়ও বাতলে দিয়েছিলেন মোদি। জানিয়েছিলেন, ওই বছরের ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা করা যাবে। কেন্দ্রের এই আচমকা সিদ্ধান্তের বিপুল সমালোচনা শুরু করে বিরোধী শিবির। পথে নামার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার রিজার্ভ ব্যাঙ্কেও যান তিনি। ছ'বছর পরও সমালোচনার কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Tags:

Rajya Sabha

Sushil Modi


আরও খবর


খবরের মুভি


ছবিতে খবর