রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে জল পড়ার যাবতীয় মিডিয়া রিপোর্টকে খারিজ করলেন ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই
রাম মন্দির (ফাইল চিত্র)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) ছাদ চুঁয়ে নাকি জল পড়ছে! মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস এমন তত্ত্ব সামনে আনেন গত সোমবার। এরপর তা নিয়ে খবর করতে থাকে সংবাদমাধ্যমগুলি। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার মিডিয়া রিপোর্টগুলিকে একেবারেই খারিজ করে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে এক ফোঁটা জলও পড়েনি বা কোথাও থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি।’’ এনিয়ে বুধবার ২৬ জুন একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেন ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টে’র সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।
প্রেস বিবৃতিতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ার কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
প্রেস বিবৃতির গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিন্দু-
১. গর্ভগৃহে যেখানে ভগবান রামলালা বিরাজমান আছেন সেখানে এক ফোঁটাও বা বিন্দুমাত্রও জল পড়েনি এবং অন্য কোনও জায়গা থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি।
২. গর্ভগৃহের সামনে পূর্ব দিকে একটি মণ্ডপ আছে। যাকে গূঢ়মণ্ডপ বলা হয়। সেখানে মন্দিরের দ্বিতীয় তলে ছাদের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর (মাটি থেকে প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতায়) ঘেরা-দেওয়াল জুড়ে যাবে। মণ্ডপের ছাদ বন্ধ হয়ে যাবে। এই মণ্ডপের দৈর্ঘ্য ৩৫ ফুট।
৩. রঙ মণ্ডপ আর গূঢ়মণ্ডপের মাঝখানে দুদিকেই (উত্তর এবং দক্ষিণ দিক) ওপরে যাওয়ার রাস্তা রয়েছে, ছাদ দোতলার উপর নির্মাণাধীন।
৪. সাধারণত পাথর নির্মিত মন্দিরে (Ram Mandir) বিদ্যুতের কন্ডুইট ও জংশন বাক্সের কাজ ছাদের ওপর হয় এবং কন্ডুইটকে ছাদে ফুটো করে নিচে নামানো হয়। এর মাধ্যমে নিচের তলে আলো জ্বালানো হয়। এই কন্ডুইট ও জংশন বক্সকে নির্মাণ চলাকালীন ফ্লোরে ওয়াটরটাইট করে অস্থায়ী ভাবে বসানো থাকে। দোতলায় বিদ্যুত, ওয়াটরপ্রুফিং এবং ফ্লোরিং এর কাজ চলছে। সেজন্যই জংশন বাক্সে জল ঢুকে কন্ডুইটের মাধ্যমে একতলায় চলে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ছাদ থেকে জল পড়ছে। কিন্ত আসলে জল কন্ডুইটের মাধ্যমে মাটিতে এসেছিল। উপরোক্ত সব কাজ অতিশীঘ্রই পূর্ণ হবে এবং দোতলার ফ্লোরিং পুরো ওয়াটরটাইট হবে। এরপর আর কোনও জংশনে জল ঢুকবে না। আর তথাপি কোনও কন্ডুইট দিয়ে জল নিচে নামবে না।
৫. মন্দির (Ram Mandir) এবং ছাদের ব্যালকনি থেকে বর্ষার জল নিকাশির পুরো ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ফলে মন্দিরে কখনও জল জমার পরিস্থিতি হবে না। সম্পূর্ণ মন্দির পরিসরের বাইরে বর্ষার জল নিকাশির শুন্য ওয়াটর ডিসচার্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জন্য পরিসরের মধ্যেই রেন ওয়াটরট রিচার্জ পিট বানানো হচ্ছে।
৬. মন্দির এবং মন্দির পরিসরের নির্মাণ ভারতের দুটি সর্বোচ্চ স্বনামধন্য কোম্পানি L&T এবং টাটা'র ইঞ্জিনিয়াররা করেছেন। প্রখ্যাত ভাস্কর শ্রী চন্দ্রকান্ত সোমপুরার পুত্র, আশীষ সোমপুরার তদারকিতে এই কাজ হয়েছে। অর্থাত নির্মাণ কার্যের গুণগত মান নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকার কথা নয়।
৭. উত্তর ভারতে শুধুমাত্র পাথর দিয়ে মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণ এই প্রথম হচ্ছে। বিদেশে কেবল স্বামী নারায়ণ পরম্পরার মন্দির পাথর দিয়ে নির্মিত।
৮. প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় এক লাখ থেকে এক লাখ পনেরো হাজার ভক্ত প্রতিদিন ভগবান রামলালাকে দর্শন করেছেন। সকাল ৬:৩০ থেকে রাত্রি ৯:৩০ মন্দিরে প্রবেশ করা যায় দর্শনের জন্য। একটি ভক্তের প্রবেশ করে দর্শন করে প্রসাদ নিয়ে বাইরে বেরোতে কম করে এক ঘণ্টা সময় লাগে। এই সময়ে মন্দিরে মোবাইল নিয়ে যাওয়া নিষেধ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।