Tamil Nadu: উদ্ধার হওয়া তালপাতার রামায়ণ পাণ্ডুলিপিটির প্রতিটা পাতায় ৭ থেকে ৮ লাইন করে লেখা রয়েছে...
তামিলনাড়ুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার বাড়িতে আবিষ্কৃত ২৫০ বছরের পুরনো তালপাতার পাণ্ডুলিপি (সংগৃহীত ছবি)
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়াইশো বছরেরও বেশি পুরনো রামায়ণের (Ramayana) তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হল তামিলনাড়ুতে। তামিলনাড়ুর বানিয়ামবাদীতে তালপাতার এই পাণ্ডুলিপিগুলি আবিষ্কারের কাজে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন ডক্টর কে মোহন গান্ধী। তিনি আসলে একজন তামিল অধ্যাপক। সে রাজ্যের ভেলোর জেলার তিরুপাথরের একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি। তাঁর সহযোগী হিসেবে ছিলেন কানিনিলাম মুনুসামি এবং ডঃ কামিনী। এই পাণ্ডুলিপিগুলি আবিষ্কার হয় সে রাজ্যের এজিহিল আমমাইয়ারের বাড়ি থেকে। এজিহিল আমমাইয়ার হলেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। ৪১৯টি তালপাতা দিয়ে তৈরি ওই পাণ্ডুলিপিতে পদ্যের আকারে রামায়ণ লেখা ছিল।
প্রসঙ্গত, ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা এজিহিল আমমাইয়ার বাড়িতে এই পাণ্ডুলিপি থাকার কথা প্রথম জানেন ১৯ নামের এক ছাত্র মনীশ। যিনি বর্তমানে কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছেন। তিনিই অধ্যাপক গান্ধীকে প্রাচীন এই পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে খবর দেন। জানা গিয়েছে, মনীশ হলেন ওই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকার (এজিহিল আমমাইয়ার) আত্মীয়।
এরপরেই অধ্যাপক গান্ধী দল বেঁধে শিক্ষিকার (এজিহিল আমমাইয়ার) বাড়িতে যান এবং সেখানে তাঁরা দেখেন যে পাঁচটি বান্ডিলে করে তালপাতা পাণ্ডুলিপি রাখা রয়েছে। জানা যায়, তাঁর পূর্বসূরিদের কাছ থেকে এগুলিকে সবটাই সংগ্রহ করেছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুল শিক্ষিকা। পাণ্ডুলিপিটির (Tamil Nadu) দৈর্ঘ্য ১.৩৬ ফুট এবং প্রস্থ ০.১৩ ফুট। প্রতিটা পাতায় ৭ থেকে ৮ লাইন করে লেখা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি লাইনে বর্ণ সংখ্যা রয়েছে ৪৯ থেকে ৫২টি। প্রথম পাতাটিতে লেখা রয়েছে, ‘‘থুম্ব-নিথুম্বের মৃত্যুর পরে রাবণের বিরুদ্ধে রাম-লক্ষণের যুদ্ধের কাহিনি’’। জানা গিয়েছে, ওই গ্রন্থে আরও লেখা রয়েছে, যাঁরা এই পাণ্ডুলিপি পড়বেন, তাঁদের জীবন অনেক দীর্ঘ হবে এব সমৃদ্ধিতে ভরে যাবে। ভগবান রামচন্দ্রের (Ramayana) আশীর্বাদ সর্বদাই তাঁদের উপরে বর্ষিত হবে।
হিন্দু-মুন্ডাই নামের একটি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন এ বিষয়ে জানিয়েছে, পুরনো ওই পাণ্ডুলিপিটি (Ramayana) আড়াইশো বছরের পুরনো। এখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে ভগবান রামচন্দ্রের কাহিনি এবং পুরোটাই লেখা হয়েছে তাল পাতার ওপরে। এরপরে এই পাণ্ডুলিপি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঐতিহ্য প্রমাণ করে যে রামায়ণের গুরুত্ব সারা ভারতব্যাপী রয়েছে। হিন্দু-মুন্ডাই (Tamil Nadu) নামের ওই সংগঠন তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে অবিলম্বে ওই ৪১৯ পাতার তালপাতার পাণ্ডুলিপিকে সংরক্ষণ করা হোক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।