স্মরণানন্দজি মহারাজের পরে গৌতমানন্দ মহারাজ হলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ
স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) নতুন অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। এতদিন পর্যন্ত তিনি মঠের সহ-অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন অধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। প্রসঙ্গত, স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের মৃত্যুর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর অধ্যক্ষের পদ কখনও শূন্য থাকে না।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, অছি পরিষদের সবথেকে প্রবীণ সহ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। তাঁকেই বেছে নেওয়া হল পরবর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে। প্রসঙ্গত গত ২৭ মার্চ স্মরণানন্দজি মহারাজের অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঘটনাক্রমে সেই দিনেই মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ জানিয়েছিলেন, নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে এক মাস মত সময় লাগবে। ২৪ এপ্রিল নাম ঘোষণা হল নতুন মহারাজের। ২৭ মার্চ সুবীরানন্দ মহারাজ বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবেন। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সন্ন্যাসীরা।’’
মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনে যোগদান করেন ১৯৫১ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বিরেশ্বরানন্দজি মহারাজ তাঁকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত করেন। গৌতমানন্দ মহারাজ অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন- এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালের রামকৃষ্ণ মিশন-এর (Ramkrishna Math) ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় গৌতমানন্দজি মহারাজকে। পরবর্তীকালে ১৯৯৫ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের চেন্নাই মঠের দায়িত্বভার পান তিনি।
রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন এক জন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে অন্তর্বর্তিকালীন কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।