মন্দিরে যেতে যানজট কমাতে পিপিপি মডেলের পরিকল্পনা কেন্দ্র সরকারের
প্রভু রামলালা। সংগৃহীত চিত্র।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবং মন্দিরে উদ্বোধনের পর থেকেই উপচে পড়া ভিড় দর্শনার্থীদের। বালক রামের দর্শন পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন ভক্তরা। ৫০০ বছর পর প্রভু রাম তাঁর নিজের জন্মভূমির উপর নির্মিত মন্দিরের গর্ভগৃহে বিরাজমান হয়েছেন। তাই অগণিত রামভক্তের দেখা মিলছে রাম মন্দির প্রাঙ্গনে। ইতিমধ্যে মন্দির কর্তৃপক্ষ আগত ভক্তদের উদ্দেশে মন্দির দর্শন এবং আরতির নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে। অপর দিকে, অযোধ্যায় ভিড় সামলাতে ৩৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার।
মন্দির সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মানুষ রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শন করেছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রভু রামলালার দর্শনে ছুটে আসছেন ভক্তরা। ভক্তদের সুবিধার্থে শ্রীরাম জন্মভূমিত তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আরতি ও দর্শনের নতুন সময় প্রকাশ করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রাজ্য মুখপাত্র এবং মিডিয়া ইনচার্জ শরদ শর্মা বলেছেন, “প্রভু শ্রীরামলালার শৃঙ্গার আরতি হবে ভোর সাড়ে ৪টায়। সেই সঙ্গে মঙ্গল আরতি হবে সকাল সাড়ে ৬টায়। এরপর সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ভক্তদের দর্শন পর্ব। দুপুর ১২টায় হবে ভোগ আরতি, এই সময় প্রভুকে ভোগ নিবেদন করা হবে। এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য বন্ধ থাকবে গর্ভগৃহ। আবার দুপুর ২টো থেকে দরজা খুলে যাবে। সন্ধ্যার সময় হবে প্রভু রামের সন্ধ্যা আরতি। এরপর ভোগ নিবেদন করে ভোগের আরতি করা হবে। রাত্রি ১০টায় হবে শয়ন আরতি।”
মন্দির(Ram Mandir) উদ্বোধনের পর থেকেই রাম মন্দিরে ব্যাপক ভক্তের সমাগম। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো নাজেহাল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। মধ্যে রাত থেকেই মন্দির দর্শনের জন্য পড়ছে লম্বা লাইন। আগামী দিনে প্রভু বালক রামের দর্শনের জন্য আরও ভিড় বাড়বে। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ৩ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছে। ৬৮ কিমি বাইপাস তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক বিশেষ ঘোষণা করেছে। ৬ লেনের হাইওয়ে রাস্তা যাবে লখনউ, বাস্তি, গোন্ডা জেলার উপর দিয়ে। উত্তর অযোধ্যা এবং দক্ষিণ অযোধ্যা দুই ভাগে প্রকল্পের কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্দিরে যেতে যাতে যানজট কম হয় তাই এই ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে ৮৯ হাজার ২৩টি গাড়ি রোজ গড়ে যাতায়াত করছে। ২০৩৩ সালের মধ্যে এই সংখ্যা পৌঁছাতে পারে আনুমানিক ২ লক্ষ ১৭ হাজারে। এই রাস্তা মূলত পিপিপি মডেলে নির্মাণ করা হবে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।