জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ শুধুমাত্র ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের বিরুদ্ধেই নয়, দেশের নিরাপত্তার জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ অভিমত সুপ্রিম কোর্টের
পুষ্কর ধামি।
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে উত্তরাখণ্ডে। সাজার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ১০ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুষ্কর ধামির সরকার। সম্প্রতি জোর করে , ভয় দেখিয়ে বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তকরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল দেশের শীর্ষ আদালত। জবরদস্তি করে ধর্ম পরিবর্তন আটকাতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া আইন তৈরির সুপারিশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: নোটবন্দির সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা প্রসূত, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর গতকাল বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকার এই সংক্রান্ত আইনের বিধান আরও কঠোর করল। জোর করে ধর্মান্তকরণ ও লাভ-জিহাদ আগেই নিষিদ্ধ করেছিল ওই রাজ্যের সরকার। এবার উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ম পরিবর্তন আইনে কঠোর পরিবর্তন আনা হয়েছে। জোর করে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে ধরা হয়েছে। ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের।
আরও পড়ুন: জোর করে ধর্মান্তকরণ, গুরুতর বিষয়! পদক্ষেপ নিক কেন্দ্র, অভিমত সুপ্রিম কোর্টের
২০১৮ সালের এপ্রিলে উত্তরাখণ্ডে ধর্মের স্বাধীনতা আইন পাশ করা হয়। ওই রাজ্যের সরকারের অধীনে, জোরপূর্বক বা প্রতারণামূলক ধর্মান্তকরণের মামলাগুলিকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হত না। কারাবাসের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর। যদিও পাশেই উত্তরপ্রদেশের আইনে ধর্মান্তকরণ জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হয়। সাজার মেয়াদও ১০ বছর। উত্তরপ্রদেশের আইনকে মডেল করেই এবার উত্তরাখণ্ডে নয়া আইন তৈরি করা হল। গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ভয় বা লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরকরণকে একটি গুরুতর বিষয় বলে অভিহিত করে। সোমবার একটি আবেদনের শুনানির সময়, আদালত বলেছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ শুধুমাত্র ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারের বিরুদ্ধেই নয়, দেশের নিরাপত্তার জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।